০৬:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসির রোডম্যাপকে ইতিবাচক বলল বিএনপি

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় আছে এবং নির্বাচনমুখী হচ্ছে। তার মতে, একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না এবং দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে না। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসির এ রোডম্যাপ রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলেছে। আমির খসরু আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আস্থা তৈরি হবে এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটবে। তিনি আরও বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, মূল্যস্ফীতি, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ স্থবিরতা। এসব সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক সংলাপ এবং সমঝোতার পথ তৈরি করতে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী রোডম্যাপ কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয়, তার ওপরই নির্ভর করবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইসির রোডম্যাপকে ইতিবাচক বলল বিএনপি

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:২১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, দেশের মানুষ একটি নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষায় আছে এবং নির্বাচনমুখী হচ্ছে। তার মতে, একটি অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না এবং দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে না। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণ, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইসির এ রোডম্যাপ রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলেছে। আমির খসরু আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগে আস্থা তৈরি হবে এবং অর্থনীতিতে বড় ধরনের অগ্রগতি ঘটবে। তিনি আরও বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সহায়তা করবে। বর্তমানে দেশের অর্থনীতি নানা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, মূল্যস্ফীতি, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ স্থবিরতা। এসব সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক সংলাপ এবং সমঝোতার পথ তৈরি করতে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী রোডম্যাপ কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয়, তার ওপরই নির্ভর করবে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।