১০:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইসরায়েলকে সহায়তার প্রতিবাদে মাইক্রোসফটের চার কর্মী বরখাস্ত

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং গাজায় সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার কারণে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মাইক্রোসফটের ভেতরে। কোম্পানির ভেতরের অনেক কর্মী এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তার ফল হয়েছে উল্টো—প্রতিবাদকারীদের মধ্যে অন্তত চারজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের মধ্যে দুজন মাইক্রোসফট প্রেসিডেন্টের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের নাম অ্যানা হ্যাটেল ও রিকি ফামেলি। ভয়েসমেইলের মাধ্যমে তাদের বরখাস্তের খবর জানানো হয়। এর একদিন পরই নিসরিন জারাদাত এবং জুলিয়াস শান নামের আরও দুই কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

বিক্ষোভকারীদের সংগঠন ‘নো এ জুর ফর অ্যাপার্থেইড’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও মাইক্রোসফটের সংশ্লিষ্টতার প্রতিবাদে অফিসে তাঁবু গেড়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। বিভিন্ন সময় এ হামলায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে মাইক্রোসফট বলে অভিযোগ তুলেছেন কোম্পানিরই কর্মীরা। এমনকি এক কর্মী মাইক্রোসফট প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তার পরই তিনি চাকরি হারান।

সংগঠনের অভিযোগ, যারা কোম্পানির ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাদের সরাসরি বরখাস্ত করছে মাইক্রোসফট। এ ঘটনাকে ভিন্নমত দমন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।

ট্যাগ

ইসরায়েলকে সহায়তার প্রতিবাদে মাইক্রোসফটের চার কর্মী বরখাস্ত

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং গাজায় সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার কারণে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মাইক্রোসফটের ভেতরে। কোম্পানির ভেতরের অনেক কর্মী এ নিয়ে প্রতিবাদ করলেও তার ফল হয়েছে উল্টো—প্রতিবাদকারীদের মধ্যে অন্তত চারজনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের মধ্যে দুজন মাইক্রোসফট প্রেসিডেন্টের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাদের নাম অ্যানা হ্যাটেল ও রিকি ফামেলি। ভয়েসমেইলের মাধ্যমে তাদের বরখাস্তের খবর জানানো হয়। এর একদিন পরই নিসরিন জারাদাত এবং জুলিয়াস শান নামের আরও দুই কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

বিক্ষোভকারীদের সংগঠন ‘নো এ জুর ফর অ্যাপার্থেইড’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও মাইক্রোসফটের সংশ্লিষ্টতার প্রতিবাদে অফিসে তাঁবু গেড়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন কর্মীরা। তাদের দাবি ছিল, দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে এবং সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। বিভিন্ন সময় এ হামলায় প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে মাইক্রোসফট বলে অভিযোগ তুলেছেন কোম্পানিরই কর্মীরা। এমনকি এক কর্মী মাইক্রোসফট প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্যে এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। তার পরই তিনি চাকরি হারান।

সংগঠনের অভিযোগ, যারা কোম্পানির ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তাদের সরাসরি বরখাস্ত করছে মাইক্রোসফট। এ ঘটনাকে ভিন্নমত দমন এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।