০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রশিক্ষণ ব্যয় নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের বটম লাইন হলো পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা। তিনি বলেন, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ কখনো নৈতিকতার বিকল্প হতে পারে না।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যোগাযোগ ভেঙে পড়া মানেই সবকিছু ভেঙে পড়া। মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বার্তা যেন সঠিকভাবে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

নাসির উদ্দিন আরও বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তা ব্যয় নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেন, যেখানে ছোট বার্তা কয়েক ধাপ পেরিয়ে পৌঁছাতে গিয়ে বিকৃত হয়ে যায়। নির্বাচনেও এ ধরনের ঝুঁকি থাকে। তাই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং সঠিকভাবে নোট নিতে হবে।

তিনি আরও সতর্ক করেন যে, নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াজনিত নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য (মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন) মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশন আলাদা সেল গঠন করবে।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, শুধুমাত্র আইনকানুন শেখানো নয়, ভুয়া তথ্য প্রতিরোধের দায়িত্বও নিতে হবে, এবং এই বার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দিতে হবে।

আজকের প্রশিক্ষণে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। দুই ধাপে মোট ৮০ জন প্রশিক্ষণ নেবেন।

ট্যাগ

প্রশিক্ষণ ব্যয় নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:১৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের বটম লাইন হলো পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতা। তিনি বলেন, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ কখনো নৈতিকতার বিকল্প হতে পারে না।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী কোর প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যোগাযোগ ভেঙে পড়া মানেই সবকিছু ভেঙে পড়া। মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বার্তা যেন সঠিকভাবে পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

নাসির উদ্দিন আরও বলেন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে যে অর্থ ব্যয় করা হয়, তা ব্যয় নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করেন, যেখানে ছোট বার্তা কয়েক ধাপ পেরিয়ে পৌঁছাতে গিয়ে বিকৃত হয়ে যায়। নির্বাচনেও এ ধরনের ঝুঁকি থাকে। তাই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং সঠিকভাবে নোট নিতে হবে।

তিনি আরও সতর্ক করেন যে, নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াজনিত নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য (মিস ইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন) মোকাবেলায় নির্বাচন কমিশন আলাদা সেল গঠন করবে।

প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, শুধুমাত্র আইনকানুন শেখানো নয়, ভুয়া তথ্য প্রতিরোধের দায়িত্বও নিতে হবে, এবং এই বার্তা প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দিতে হবে।

আজকের প্রশিক্ষণে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। দুই ধাপে মোট ৮০ জন প্রশিক্ষণ নেবেন।