
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশের সাংবিধানিক আদালত ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এটি ঘটে সেই ফোনকলের রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর, যেখানে তাকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলতে শোনা গেছে। ওই ফোনকলের সময় তিনি নিজের দেশের সেনাবাহিনী সমালোচনা করেন এবং বলেন, তার সেনাদের কারণে কম্বোডিয়ার এক সেনার প্রাণ গেছে।
ফোনকলের রেকর্ড ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এর কয়েক মাস পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষ হয়, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থামানো যায়। ফোনকলে পেতোংতার্ন আরও বলেন, “যে কোনো কিছু চাইলে, আমাকে বলবেন। আমি বিষয়টি দেখব।” এই মন্তব্যও সমালোচনার ঝড় তোলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ফোনকলের সময় সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী অনুভূতিও প্রবল হয়। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে যে পেতোংতার্ন গোপনে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছেন। পরে তিনি জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে জানান, এটি কম্বোডিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল ছিল।
পেতোংতার্ন ২০২৪ সালের আগস্টে ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। এক বছরেরও কম সময় ক্ষমতায় থাকার পর তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। ১ জুলাই সাংবিধানিক আদালত তার প্রধানমন্ত্রীর পদ স্থগিত করলেও তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় থাকেন।
সাংবিধানিক আদালতের আজকের সিদ্ধান্তে পেতোংতার্ন সম্পূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তিনি থাই রাজনীতির প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য ছিলেন।