
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলার পর রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়া রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার। শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল সোয়া ৭টায় দানবাক্স খোলার পর গণনার জন্য তা মসজিদের দোতলায় আনা হয়।
এবার প্রায় ৪ মাস ১৭ দিন পর মসজিদের ১৩টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে। দানবাক্স খোলার পর প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ধরে গণনা চলে, এতে প্রায় ৫০০ জন অংশ নেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেজাবে রহমত টাকার পরিমাণ নিশ্চিত করেন।
গত বছরের বিভিন্ন সময় দানবাক্স খোলার পরও বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। ১২ এপ্রিল ২৮ বস্তা টাকার মধ্যে ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা, ৩০ নভেম্বর ২৯ বস্তায় ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা, আর ১৭ আগস্ট ২৮ বস্তায় ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
শনিবার দানবাক্স খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী। টাকাগুলো ৩২টি বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় আনা হয় গণনার জন্য।
টাকা গণনার কাজে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. আলী হারেছী, ঐতিহাসিক জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২২০ ছাত্র, নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১২০ ছাত্র, ব্যাংকের ১০০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ সদস্য।
স্থানীয়দের মতে, মসজিদে দান করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। তাই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ নিয়মিতভাবে এখানে দান করে থাকেন। মসজিদের খতিব ও কমিটির কর্মকর্তারা জানান, এই দানগুলো মসজিদের উন্নয়ন, ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ও দরিদ্রদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে।