দীর্ঘ সাত বছর পর চীন সফরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপানে দুই দিনের সফর শেষে শনিবার (৩০ আগস্ট) তিনি চীনের তিয়ানজিনে পৌঁছান। বিমানবন্দরে মোদিকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
মোদি এবার যোগ দেবেন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে। তিয়ানজিনে আয়োজিত এ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকবেন।
সফরে মোদি আলাদা বৈঠকে বসবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে। বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, যা বাণিজ্য সম্পর্ককে চাপে ফেলেছে। একইসঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়েও দুই দেশের আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০২০ সালে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীন ও ভারতীয় সেনাদের সংঘর্ষে দুই দেশের সম্পর্ক গভীর সংকটে পড়ে। এরপর থেকে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে। গত মাসেই দিল্লি সফরে গিয়েছিলেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, যেখানে সীমান্ত দ্বন্দ্ব নিরসনে সক্রিয়ভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়।
জাপান সফরে মোদি বলেন, চীন ও ভারতের সম্পর্ক আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সর্বশেষ শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন গত বছর রাশিয়ার কাজানে। এবারকার বৈঠকে সীমান্ত উত্তেজনা ছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।