১১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নুরুল হক নুরের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অন্তর্বর্তী সরকারের

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, কেউ দায়মুক্তি পাবে না। দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কেবল নুরুল হক নুরের ওপর নয়, এ ধরনের সহিংসতা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিট ও জনগণের ন্যায়বিচারের সংগ্রামের ওপর সরাসরি আঘাত। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, নৃশংস এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করা হবে।

তাৎক্ষণিকভাবে নুরুল হক নুর ও তাঁর দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশেও পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুর ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার শাসনামলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ও তাঁকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছিল। তাঁর সাহস, আত্মত্যাগ এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ভূমিকা স্বাধীন ও সুষ্ঠু বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে জাতির ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকার সংকটকালীন এ সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে—২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত করাই হবে সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার যে কোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হবে। দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে কোনো অশুভ শক্তির হাতে বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।

ট্যাগ

নুরুল হক নুরের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা অন্তর্বর্তী সরকারের

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৫৩:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা নুরুল হক নুরের ওপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার বিকেলে এ বিষয়ে দেওয়া এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, এ ঘটনায় প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক না কেন, কেউ দায়মুক্তি পাবে না। দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, কেবল নুরুল হক নুরের ওপর নয়, এ ধরনের সহিংসতা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিট ও জনগণের ন্যায়বিচারের সংগ্রামের ওপর সরাসরি আঘাত। সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে আশ্বস্ত করে বলা হয়, নৃশংস এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সম্পন্ন করা হবে।

তাৎক্ষণিকভাবে নুরুল হক নুর ও তাঁর দলের আহত সদস্যদের চিকিৎসায় বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশেও পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুর ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার শাসনামলে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময়ও তাঁকে গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছিল। তাঁর সাহস, আত্মত্যাগ এবং গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ভূমিকা স্বাধীন ও সুষ্ঠু বাংলাদেশের প্রতীক হিসেবে জাতির ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকার সংকটকালীন এ সময়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে—২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত করাই হবে সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচাল করার যে কোনো ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করা হবে। দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে কোনো অশুভ শক্তির হাতে বাধাগ্রস্ত হতে দেওয়া হবে না।