বাংলাদেশ দলে প্রায় দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিরেই নজর কাড়লেন স্পিনার সাইফ হাসান। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই একাদশে সুযোগ পেয়ে বল হাতে নামেন ইনিংসের দশম ওভারে। আর প্রথম ওভারেই দেখালেন তার আগ্রাসন। চতুর্থ বলেই নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে ফিরিয়ে দেন তিনি। লেগ স্টাম্পের ওপর করা বলে প্যাডল সুইপ খেলতে গিয়ে টাইমিং মিস করেন এডওয়ার্ডস, লং লেগে ঝাঁপিয়ে চমৎকার ক্যাচ নেন জাকের আলি। মাত্র ৭ বলে ১২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন ডাচ অধিনায়ক।
এরপর একই ওভারের ষষ্ঠ বলেই ফেরান তেজা নিদামিনুরুকে। এবারও একই ধরনের লেগ স্টাম্পের ওপর বল, ব্যাটার লাফিয়ে খেলার চেষ্টা করলেও নিয়ন্ত্রিতভাবে বল ওঠে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে। ২৬ রান করেই আউট হন তিনি। ইনিংসের মাঝপথে হঠাৎ করেই নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং বিপর্যয় ডেকে আনেন সাইফ।
এর আগে শুরু থেকেই বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস নতুন বল তুলে দিয়েছিলেন স্পিনার শেখ মেহেদির হাতে। তিনি প্রথম ওভার ভালোভাবে সামলালেও শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হজম করেন। তাই দ্রুত আক্রমণে আসেন তাসকিন আহমেদ। দারুণভাবেই বাজিমাত করেন তিনি। নিজের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। মিডল-লেগ স্টাম্পের ওপর গুড লেংথের বলে ম্যাক্স ও’ডাউড শর্ট কভারে জাকের আলির হাতে ক্যাচ দেন। সাজঘরে ফেরার আগে তিনি খেলেন ১৫ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংস।
তাসকিনের ধারাবাহিকতায় অষ্টম ওভারে আবারো প্রথম বলেই সাফল্য। এবার তার শিকার ভিক্রমজিত সিং। খাটো লেংথের বল মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন তিনি। ফলে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটিং অস্থিরতা আরও বেড়ে যায়।
১১ ওভার শেষে নেদারল্যান্ডস সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৭৩ রান ৪ উইকেটে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সাইফ হাসান ও তাসকিন আহমেদই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছেন ডাচ ব্যাটিং লাইনআপে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।