১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের লাইসেন্স দেওয়া শুরু

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের দীর্ঘদিন পেন্ডিং থাকা লাইসেন্স সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও লাইসেন্স পাননি। শর্তপূরণসহ আগামী চার মাসের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ হেলথ কনক্লেভ–২০২৫’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “সব প্রতিষ্ঠান মান উপযোগী নয়, তাই লাইসেন্স দেওয়ার সময় তাদের মান বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।”

সাইদুর রহমান জানান, দেশের স্বাস্থ্য খাতের প্রায় ৭৩ শতাংশ সেবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও থেকে আসে। এই খাতে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, “সমন্বয় নিশ্চিত করতে হলে একে অপরকে দোষারোপ না করে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সেবা নিশ্চিত করতে হলে এক হওয়ার বিকল্প নেই।”

তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি ১০০ দিনের পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও যতটুকু সম্ভব হবে। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার এটিকে আরও এগিয়ে নেবে। তবে জনগণের রোগসংক্রান্ত সচেতনতা খুবই দুর্বল। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিষয়ক পাঠ্যও উপেক্ষিত। তিনি বলেন, “যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খেলাধুলা করাচ্ছে, কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেই। সব মন্ত্রণালয়কে তাদের কাজে স্বাস্থ্য বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।”

সাইদুর রহমান নগর ও গ্রাম অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য উল্লেখ করে বলেন, গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নগরের তুলনায় নাজুক। ঢাকার ২১টি গভর্নমেন্ট ডিসপেনসারি কার্যকর করার মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শর্ত দিয়ে চার মাসের মধ্যে লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব। শর্তপূরণের জন্য সময় দেওয়া হবে। সব প্রতিষ্ঠান মান উপযোগী না হলেও আমরা নিশ্চিত করব, লাইসেন্স দেওয়ার পরও মান বজায় থাকবে।”

ট্যাগ

প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের লাইসেন্স দেওয়া শুরু

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৫

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের দীর্ঘদিন পেন্ডিং থাকা লাইসেন্স সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৭ সাল থেকে অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও লাইসেন্স পাননি। শর্তপূরণসহ আগামী চার মাসের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স প্রদান করা হবে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ হেলথ কনক্লেভ–২০২৫’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “সব প্রতিষ্ঠান মান উপযোগী নয়, তাই লাইসেন্স দেওয়ার সময় তাদের মান বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।”

সাইদুর রহমান জানান, দেশের স্বাস্থ্য খাতের প্রায় ৭৩ শতাংশ সেবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিও থেকে আসে। এই খাতে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। তিনি বলেন, “সমন্বয় নিশ্চিত করতে হলে একে অপরকে দোষারোপ না করে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সেবা নিশ্চিত করতে হলে এক হওয়ার বিকল্প নেই।”

তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি ১০০ দিনের পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও যতটুকু সম্ভব হবে। পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার এটিকে আরও এগিয়ে নেবে। তবে জনগণের রোগসংক্রান্ত সচেতনতা খুবই দুর্বল। শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বিষয়ক পাঠ্যও উপেক্ষিত। তিনি বলেন, “যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় খেলাধুলা করাচ্ছে, কিন্তু সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেই। সব মন্ত্রণালয়কে তাদের কাজে স্বাস্থ্য বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।”

সাইদুর রহমান নগর ও গ্রাম অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবার পার্থক্য উল্লেখ করে বলেন, গ্রামের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নগরের তুলনায় নাজুক। ঢাকার ২১টি গভর্নমেন্ট ডিসপেনসারি কার্যকর করার মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক হাসপাতালের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার অনেক পিছিয়ে আছে। কিছু শর্ত দিয়ে চার মাসের মধ্যে লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব। শর্তপূরণের জন্য সময় দেওয়া হবে। সব প্রতিষ্ঠান মান উপযোগী না হলেও আমরা নিশ্চিত করব, লাইসেন্স দেওয়ার পরও মান বজায় থাকবে।”