ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় বন্দরনগরী তিয়ানজিনে। বৈঠকে ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি।
রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদি বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যু উত্থাপন করে স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ এমন এক অভিশাপ যার শিকার ভারত ও চীন উভয়ই। এ বিষয়ে চীনের সমর্থনও পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে চীন সম্প্রতি পেহেলগাম হামলার প্রসঙ্গ এসসিও ঘোষণায় অন্তর্ভুক্ত না করায় ভারত অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর নয়াদিল্লি ও বেইজিং নতুন করে ঘনিষ্ঠতার পথে এগোচ্ছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ভারত ও চীন কৌশলগত স্বশাসন বজায় রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নেবে এবং তৃতীয় কোনও দেশের দৃষ্টিকোণ থেকে দুই দেশের সম্পর্ক দেখা উচিত নয়।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে একই অবস্থান গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন দুই নেতা।
অন্যদিকে, সোমবার সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পেহেলগাম হামলা ও অপারেশন সিন্দুরের পর প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে এটিই হবে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
উল্লেখ্য, তিন বছর পর সরাসরি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০২৩ সালে ভারত আয়োজক থাকলেও অনলাইনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর ২০২৪ সালে কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তিনি অংশ নেননি।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।