০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“বাংলাদেশে আর কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, একটি পরিকল্পিত নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে যমুনায় বৈঠকে অংশ নিয়ে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। পরিকল্পিত কোনো “ডিজাইন নির্বাচন” হলে গণতন্ত্রকামী ও দেশপ্রেমিক শক্তির অংশগ্রহণের সুযোগ সংকুচিত হবে, যা দেশের জন্য অমঙ্গলজনক।

তিনি জানান, বৈঠকে জামায়াত স্পষ্টভাবে বলেছে— প্রশাসনে যারা সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে রয়ে গেছে, তাদের সরাতে হবে এবং দক্ষ, নিরপেক্ষ লোকদের দায়িত্ব দিতে হবে।

নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে ড. তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের বক্তব্যকে যুক্তিসঙ্গত মনে করেছেন। তবে এখনও দেখতে হবে, কী উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করলেও একটি দল বিরোধিতা করছে। অথচ জাতীয় নির্বাচনের চার্টার ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে, যাতে ১৯টি বড় ইস্যুতে ঐক্যমত রয়েছে।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতির প্রসঙ্গে তিনি জানান, ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল এই ব্যবস্থা চায়। এর মাধ্যমে নির্বাচনী অনিয়ম ও ভোট ডাকাতির মতো অভিজ্ঞতা এড়ানো সম্ভব হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভোটের দিন যদি আবার দখল, জোরজবরদস্তি হয় আর পরে দুঃখপ্রকাশ করা হয়, তাহলে কোনো সমাধান হবে না। এখনো সময় আছে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।”

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যমুনা অতিথি ভবনে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে ডা. তাহেরের সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ।


ট্যাগ

“বাংলাদেশে আর কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না”

প্রকাশিত হয়েছে: ১২:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, বাংলাদেশে আর কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না। তবে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, একটি পরিকল্পিত নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চলছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে যমুনায় বৈঠকে অংশ নিয়ে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। পরিকল্পিত কোনো “ডিজাইন নির্বাচন” হলে গণতন্ত্রকামী ও দেশপ্রেমিক শক্তির অংশগ্রহণের সুযোগ সংকুচিত হবে, যা দেশের জন্য অমঙ্গলজনক।

তিনি জানান, বৈঠকে জামায়াত স্পষ্টভাবে বলেছে— প্রশাসনে যারা সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে রয়ে গেছে, তাদের সরাতে হবে এবং দক্ষ, নিরপেক্ষ লোকদের দায়িত্ব দিতে হবে।

নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রসঙ্গে ড. তাহের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাদের বক্তব্যকে যুক্তিসঙ্গত মনে করেছেন। তবে এখনও দেখতে হবে, কী উদ্যোগ নেওয়া হয়।

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করলেও একটি দল বিরোধিতা করছে। অথচ জাতীয় নির্বাচনের চার্টার ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে, যাতে ১৯টি বড় ইস্যুতে ঐক্যমত রয়েছে।

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতির প্রসঙ্গে তিনি জানান, ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল এই ব্যবস্থা চায়। এর মাধ্যমে নির্বাচনী অনিয়ম ও ভোট ডাকাতির মতো অভিজ্ঞতা এড়ানো সম্ভব হবে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “ভোটের দিন যদি আবার দখল, জোরজবরদস্তি হয় আর পরে দুঃখপ্রকাশ করা হয়, তাহলে কোনো সমাধান হবে না। এখনো সময় আছে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিলেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।”

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জামায়াতের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল যমুনা অতিথি ভবনে প্রবেশ করে। প্রতিনিধি দলে ডা. তাহেরের সঙ্গে ছিলেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সাবেক এমপি ড. হামিদুর রহমান আযাদ।