০৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে কর ফাঁকি ও অবৈধ লেনদেন প্রমাণিত

সূচনা ফাউন্ডেশনের অনুকূলে অর্থ প্রদান ও কর ফাঁকির মাধ্যমে প্রায় ৪৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং প্রায় ৯৩১ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে ও ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

🔹 সূচনা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও সদস্যরা:
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, চেয়ারপার্সন প্রফেসর ডা. মাজহারুল মান্নান, সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, সায়ফুল্লাহ আব্দুল্লা সোলেনখী, ট্রেজারার মো. শামসুজ্জামান, ট্রাস্টি জ্যান বারী রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রফেসর রুহুল হক, শিরিন জামান মুনির, এম এস মেহরাজ জাহান ও ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

🔹 ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা:
সালমান এফ রহমান, আজিজ খান, ইন্তেকাবুল হামিদ, নুরুল ইসলাম বিএসসি, এ কে এম রহমাতুল্লাহ, মঈন উদ্দীন হাসান রশিদ, মোস্তফা কামাল ও এনায়েতুর রহমান।

🔹 এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা ১৬ জন:
সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বে থাকা সদস্যরা—মীর মুস্তাক আলী, চৌধুরী আমির হোসেন, পারভেজ ইকবাল, মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. ফিরোজ শাহ আলম, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. মাহবুবুর রহমান, মো. লোকমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হাসান, মো. জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, এ এফ এম শাহরিয়ার মোল্লা, সুলতান মো. ইকবাল, তন্দ্রা সিকদার ও কালীপদ হালদার।

দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, সূচনা ফাউন্ডেশন নামের কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি করে ৪৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০১৫–২০১৬ থেকে ২০২৪–২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ভুয়া কর রিটার্ন ও জাল অডিট প্রতিবেদন তৈরি করে আরও প্রায় এক কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া, ১৪টি ব্যাংক হিসাবে অবৈধ অর্থ জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে প্রায় ৯৩১ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। এসব অর্থ বিভিন্ন আর্থিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের বিনিময়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দুদকের অভিযোগ।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর অধীনে মামলা অনুমোদন করা হয়েছে।


ট্যাগ

সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে কর ফাঁকি ও অবৈধ লেনদেন প্রমাণিত

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সূচনা ফাউন্ডেশনের অনুকূলে অর্থ প্রদান ও কর ফাঁকির মাধ্যমে প্রায় ৪৪৯ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং প্রায় ৯৩১ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে ও ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানান।

🔹 সূচনা ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি ও সদস্যরা:
সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, চেয়ারপার্সন প্রফেসর ডা. মাজহারুল মান্নান, সাবেক ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন, সায়ফুল্লাহ আব্দুল্লা সোলেনখী, ট্রেজারার মো. শামসুজ্জামান, ট্রাস্টি জ্যান বারী রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রফেসর রুহুল হক, শিরিন জামান মুনির, এম এস মেহরাজ জাহান ও ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

🔹 ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা:
সালমান এফ রহমান, আজিজ খান, ইন্তেকাবুল হামিদ, নুরুল ইসলাম বিএসসি, এ কে এম রহমাতুল্লাহ, মঈন উদ্দীন হাসান রশিদ, মোস্তফা কামাল ও এনায়েতুর রহমান।

🔹 এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা ১৬ জন:
সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সময়ে দায়িত্বে থাকা সদস্যরা—মীর মুস্তাক আলী, চৌধুরী আমির হোসেন, পারভেজ ইকবাল, মো. ফরিদ উদ্দিন, মো. ফিরোজ শাহ আলম, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. মাহবুবুর রহমান, মো. লোকমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হাসান, মো. জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, এ এফ এম শাহরিয়ার মোল্লা, সুলতান মো. ইকবাল, তন্দ্রা সিকদার ও কালীপদ হালদার।

দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে, সূচনা ফাউন্ডেশন নামের কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কর মওকুফের প্রজ্ঞাপন জারি করে ৪৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ২০১৫–২০১৬ থেকে ২০২৪–২০২৫ করবর্ষ পর্যন্ত ভুয়া কর রিটার্ন ও জাল অডিট প্রতিবেদন তৈরি করে আরও প্রায় এক কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া, ১৪টি ব্যাংক হিসাবে অবৈধ অর্থ জমা ও উত্তোলনের মাধ্যমে প্রায় ৯৩১ কোটি টাকার মানি লন্ডারিং করা হয়েছে। এসব অর্থ বিভিন্ন আর্থিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সুবিধা আদায়ের বিনিময়ে নেওয়া হয়েছিল বলে দুদকের অভিযোগ।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১২০বি, ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর অধীনে মামলা অনুমোদন করা হয়েছে।