০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে ইইউকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক আরোপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়াতে এবং যুদ্ধ থামাতে ওয়াশিংটন চাইছে ইইউ যেন রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে এবং রাশিয়ার তেল কেনার দায়ে ভারত ও চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইইউ নেতাদের অবস্থানেও দিন দিন অধৈর্য হয়ে উঠছে হোয়াইট হাউস। গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এবং দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন—এই চার প্রদেশকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। পুতিনের শর্তে ট্রাম্প সম্মত হলেও ইইউ নেতারা এখনও তাতে রাজি হননি।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এক্সিওস-কে বলেন, “ইইউ নেতারা আসলে চাইছে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হোক, আর সেই যুদ্ধের খরচ বহন করুক যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, আবার অন্যদিকে ভারত ও চীনের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কিনছে।”

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার অভিযোগে চলতি আগস্টের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।

এ অবস্থায় ভারত নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে ইউরোপে বিকল্প বাজার খুঁজছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ কারণেই ইইউকেও একই পথে আনতে চাপ বাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ভারতীয় পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে ইইউকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৪২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত রপ্তানি শুল্ক আরোপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়াতে এবং যুদ্ধ থামাতে ওয়াশিংটন চাইছে ইইউ যেন রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করে এবং রাশিয়ার তেল কেনার দায়ে ভারত ও চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ইইউ নেতাদের অবস্থানেও দিন দিন অধৈর্য হয়ে উঠছে হোয়াইট হাউস। গত ১৫ আগস্ট আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ এবং দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন—এই চার প্রদেশকে রাশিয়ার ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান। পুতিনের শর্তে ট্রাম্প সম্মত হলেও ইইউ নেতারা এখনও তাতে রাজি হননি।

ট্রাম্প প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এক্সিওস-কে বলেন, “ইইউ নেতারা আসলে চাইছে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হোক, আর সেই যুদ্ধের খরচ বহন করুক যুক্তরাষ্ট্র। একদিকে তারা রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, আবার অন্যদিকে ভারত ও চীনের মাধ্যমে রাশিয়ার তেল কিনছে।”

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার অভিযোগে চলতি আগস্টের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে মার্কিন বাজারে ভারতীয় পণ্যের মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে।

এ অবস্থায় ভারত নিজেদের অর্থনীতির স্বার্থে ইউরোপে বিকল্প বাজার খুঁজছে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ কারণেই ইইউকেও একই পথে আনতে চাপ বাড়াচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।