কোরআন মুসলিমদের জীবনের অন্যতম মূল ভিত্তি। এটি আল্লাহর সরাসরি বাণী, যা নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে ফেরেশতা জিবরাইল (আ.)-এর মাধ্যমে ২৩ বছরের মধ্যে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন হলো মানবজাতির জন্য প্রেরিত চূড়ান্ত গ্রন্থ এবং সর্বশেষ নবীর মাধ্যমে প্রদত্ত হেদায়েতের শেষ বার্তা।
কোরআন অলৌকিকভাবে সংরক্ষিত। অর্থাৎ, আজ আমরা যে কোরআন পড়ি, তা হুবহু সেই গ্রন্থ, যা নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল। এটি কোনো মানুষের পক্ষে এমন নিখুঁতভাবে লেখা অসম্ভব, এতে কোনো ত্রুটি বা বিরোধ নেই। কোরআন ভবিষ্যতের সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছে, মানুষের অজানা প্রাকৃতিক বিষয়গুলো বর্ণনা করেছে এবং সমগ্র মানবজাতির কল্যাণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
الٓـمّٓ ۚ١ ذٰلِکَ الۡکِتٰبُ لَا رَیۡبَ ۚۖۛ فِیۡہِ ۚۛ ہُدًی لِّلۡمُتَّقِیۡنَ ۙ٢ الَّذِیۡنَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِالۡغَیۡبِ وَیُقِیۡمُوۡنَ الصَّلٰوۃَ وَمِمَّا رَزَقۡنٰہُمۡ یُنۡفِقُوۡنَ
অর্থাৎ, আলিফ-লাম-মীম। এটি সেই গ্রন্থ যার মধ্যে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই; ধর্মভীরুদের জন্য এটি হেদায়েত।
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন, কোরআন মানুষের জন্য হেদায়েতস্বরূপ নাজিল করা হয়েছে। এটি হেদায়েতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলি প্রদান করে এবং সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে সাহায্য করে (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
কোরআন শুধু তিলাওয়াতের মাধ্যমে নয়, অনুবাদ ও তাফসির শোনার মাধ্যমে মানবজাতিকে আলোকিত ও সঠিক পথ প্রদর্শনের মূল মাধ্যম। একজন মুসলিমের জন্য কোরআনের জ্ঞান অর্জন, অনুশীলন ও হৃদয়ে ধারণ করা হলো ধারাবাহিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।