০১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজউক প্লট বরাদ্দ মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্য ১৭ সেপ্টেম্বর

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ছয়জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দেন। তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তাদের জেরা করা সম্ভব হয়নি।

সাক্ষ্যদানকারী ছয়জন হলেন— সোনালী ব্যাংকের গণভবন শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গৌতম কুমার সিকদার, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, কর সার্কেল প্রধান সহকারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, কর সার্কেল কম্পিউটার অপারেটর মো. রেজাউল হক, কর সার্কেল নোটিশ সার্ভার মো. আবু তাহের ও অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, এসব মামলার মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন এবং অন্যটিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি রয়েছেন। গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অন্যদিকে বাকি তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম। এসব মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ শেখ হাসিনার পরিবারের আরও সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার অযোগ্য হয়েও রাজউকের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন, যা সরাসরি ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল।

ট্যাগ

রাজউক প্লট বরাদ্দ মামলা: পরবর্তী সাক্ষ্য ১৭ সেপ্টেম্বর

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:২৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৩ জন আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ছয়জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দেন। তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় তাদের জেরা করা সম্ভব হয়নি।

সাক্ষ্যদানকারী ছয়জন হলেন— সোনালী ব্যাংকের গণভবন শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার গৌতম কুমার সিকদার, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শরিফুল ইসলাম, কর সার্কেল প্রধান সহকারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, কর সার্কেল কম্পিউটার অপারেটর মো. রেজাউল হক, কর সার্কেল নোটিশ সার্ভার মো. আবু তাহের ও অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর খান মো. মঈনুল হাসান (লিপন) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, এসব মামলার মধ্যে একটিতে শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, আরেকটিতে সজীব ওয়াজেদ জয় ও শেখ হাসিনাসহ ১৭ জন এবং অন্যটিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও শেখ হাসিনাসহ ১৮ জন আসামি রয়েছেন। গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অন্যদিকে বাকি তিন মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম। এসব মামলায় শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ শেখ হাসিনার পরিবারের আরও সদস্যদের আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে। অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবার অযোগ্য হয়েও রাজউকের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন, যা সরাসরি ক্ষমতার অপব্যবহারের শামিল।