০৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

রাজধানীর রমনা এলাকায় হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে নুরের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনার বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় নুরকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সোমবার দুপুরে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নুরকে দেখে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, নুরের ওপর যে হামলা হয়েছে তা হত্যার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি আরও বলেন, নুরের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত হলেও তা এখনও সংকটাপন্ন। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে। ব্রেনে আঘাত ও রক্তক্ষরণের কারণে তিনি এখনও স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছেন না, তাকে পাইপের মাধ্যমে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি নেই, তবে সুস্থ হতে সময় লাগবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশে নেওয়া জরুরি। ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অভ্যুত্থানের পরও যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের নেতাদের ওপর এভাবে আক্রমণ চালায়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রধান উপদেষ্টা যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করেছেন তা দ্রুত শেষ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নুরকে দ্রুত বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত হয়েছে: ০২:৫৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর রমনা এলাকায় হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছে নুরের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনার বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় নুরকে ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে সোমবার দুপুরে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে নুরকে দেখে বেরিয়ে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদের বলেন, নুরের ওপর যে হামলা হয়েছে তা হত্যার উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তিনি আরও বলেন, নুরের শারীরিক অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা উন্নত হলেও তা এখনও সংকটাপন্ন। তার মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে। ব্রেনে আঘাত ও রক্তক্ষরণের কারণে তিনি এখনও স্বাভাবিকভাবে খেতে পারছেন না, তাকে পাইপের মাধ্যমে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি নেই, তবে সুস্থ হতে সময় লাগবে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশে নেওয়া জরুরি। ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অভ্যুত্থানের পরও যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধী দলের নেতাদের ওপর এভাবে আক্রমণ চালায়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রধান উপদেষ্টা যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করেছেন তা দ্রুত শেষ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, নুরকে দ্রুত বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।