১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

টেকসই সাপ্লাই চেইনে বিজিএমইএ-বায়ার্স ফোরামের আলোচনা

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বায়ার্স ফোরামের যৌথ বৈঠক হয়েছে টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বমূলক কৌশল এবং টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। অন্যদিকে বায়ার্স ফোরাম থেকে ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে—

  • যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ও এর প্রভাব

  • সমন্বিত আচরণ বিধি প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

  • পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি

  • নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রসার

  • শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ

  • জিএসপি প্লাস থ্রেশহোল্ড সংক্রান্ত বিষয়াদি

বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পের জন্য একটি সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়নে ব্র্যান্ডগুলোর সহযোগিতা চান। এই বিধি নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ করবে, কারখানার উপর চাপ কমাবে এবং শিল্পকে আরও নৈতিক ও টেকসই করে তুলবে। এ বিষয়ে পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি শুধু আন্তর্জাতিক মান পূরণের জন্য নয়, বরং একটি নিরাপদ ও টেকসই শিল্প পরিবেশ গড়ার জন্য করা হচ্ছে। তিনি ব্র্যান্ডগুলোকে এই ইতিবাচক পরিবর্তনে অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।

বায়ার্স ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে লজিস্টিক উন্নয়ন, এনবিআর ও কাস্টমস জটিলতা নিরসন, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শ্রম পরিবেশ তৈরি এবং পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির উপর জোর দেওয়া জরুরি।
তারা আরও প্রস্তাব করেন— বিইউএফটি-তে টেকনিক্যাল ডিজাইন সেকশন খোলা এবং তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনারদের কারখানায় নিয়োগ দেওয়া হলে শিল্পে নতুন প্রবৃদ্ধি আসবে।

বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে বেটার প্রাইসিং মডেল, ইফিশিয়েন্সি মডেল প্রণয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডগুলোর সহযোগিতা চান।
ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে আগামীতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

টেকসই সাপ্লাই চেইনে বিজিএমইএ-বায়ার্স ফোরামের আলোচনা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৫০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং বায়ার্স ফোরামের যৌথ বৈঠক হয়েছে টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বমূলক কৌশল এবং টেকসই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা।

বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে সহ-সভাপতি ও পরিচালকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন। অন্যদিকে বায়ার্স ফোরাম থেকে ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসে—

  • যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ ও এর প্রভাব

  • সমন্বিত আচরণ বিধি প্রবর্তনের প্রয়োজনীয়তা

  • পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি

  • নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রসার

  • শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ

  • জিএসপি প্লাস থ্রেশহোল্ড সংক্রান্ত বিষয়াদি

বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পের জন্য একটি সমন্বিত আচরণ বিধি প্রণয়নে ব্র্যান্ডগুলোর সহযোগিতা চান। এই বিধি নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সহজ করবে, কারখানার উপর চাপ কমাবে এবং শিল্পকে আরও নৈতিক ও টেকসই করে তুলবে। এ বিষয়ে পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি শুধু আন্তর্জাতিক মান পূরণের জন্য নয়, বরং একটি নিরাপদ ও টেকসই শিল্প পরিবেশ গড়ার জন্য করা হচ্ছে। তিনি ব্র্যান্ডগুলোকে এই ইতিবাচক পরিবর্তনে অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।

বায়ার্স ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, টেকসই সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করতে লজিস্টিক উন্নয়ন, এনবিআর ও কাস্টমস জটিলতা নিরসন, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শ্রম পরিবেশ তৈরি এবং পরিবেশগত সাসটেইনেবিলিটির উপর জোর দেওয়া জরুরি।
তারা আরও প্রস্তাব করেন— বিইউএফটি-তে টেকনিক্যাল ডিজাইন সেকশন খোলা এবং তরুণ ফ্যাশন ডিজাইনারদের কারখানায় নিয়োগ দেওয়া হলে শিল্পে নতুন প্রবৃদ্ধি আসবে।

বিজিএমইএ নেতারা পোশাক শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও নৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে বেটার প্রাইসিং মডেল, ইফিশিয়েন্সি মডেল প্রণয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডগুলোর সহযোগিতা চান।
ব্র্যান্ড প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন, তারা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের উন্নয়নে আগামীতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।