১০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সম্মান-অপমান একমাত্র আল্লাহর হাতে

আল্লাহই চূড়ান্ত সম্মান ও অপমানের মালিক
আল-মুঝিল আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। এর অর্থ হলো অপমানকারী বা সম্মান হরণকারী। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। দুনিয়ার কোনো ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, শাসক বা ধনী মানুষই আল্লাহর এই বিধানের বাইরে নয়। সম্মান-অপমান কোনো মানুষের হাতে নেই, একমাত্র আল্লাহর হাতে। তিনি কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেন, আবার কাউকে অপদস্থ করে নিচে নামিয়ে দেন।

আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে সম্মান ও হেয়ালত
মানুষ মাঝে মাঝে ভাবে, অর্থ-সম্পদ, পদমর্যাদা বা ক্ষমতা থাকলেই সে চিরকাল সম্মানিত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, যখন আল্লাহ কাউকে সম্মান থেকে বঞ্চিত করতে চান, তখন তার সব প্রতাপ ধুলোয় মিশে যায়। মহান আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন— “তুমি যাকে ইচ্ছা সম্মান দাও, যাকে ইচ্ছা অপমান কর। তোমার হাতেই সব কল্যাণ।” (সূরা আলে ইমরান ৩:২৬)। এই আয়াতই প্রমাণ করে যে সম্মান ও অপমান দুটোই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন।

অবাধ্যদের জন্য অপমান, মুমিনদের জন্য সম্মান
আল-মুঝিল নামের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা পাই যে, যারা আল্লাহর অবাধ্যতা করে, অহংকার করে, মানুষের উপর জুলুম চালায়, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে লাঞ্ছনা অবধারিত। ইতিহাসে ফেরাউন, কারুন, নামরুদ কিংবা আবু জাহল— এরা সবাই আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে শেষ পর্যন্ত অপমানিত হয়েছে। অন্যদিকে যারা আল্লাহর আনুগত্য করে, সত্যের পথে অবিচল থাকে, আল্লাহ তাদেরকে সম্মানিত করেন। দুনিয়ায় হয়তো তারা কষ্ট ভোগ করে, কিন্তু আখিরাতে তাদের মর্যাদা সর্বোচ্চ করা হবে।

অহংকার ত্যাগ ও বিনয় অবলম্বনের শিক্ষা
এই নাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সম্মান পাওয়ার একমাত্র পথ হলো আল্লাহর কাছে বিনয়ী হওয়া। মানুষ যত বড়ই হোক, আল্লাহ যদি তাকে লাঞ্ছিত করেন, তবে কেউ তাকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই আমাদের সবসময় আল্লাহর আনুগত্য করা, অহংকার ত্যাগ করা এবং মানুষের সাথে বিনয়ী আচরণ করা উচিত। কারণ সত্যিকারের সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহর কাছেই নিহিত।

ট্যাগ

সম্মান-অপমান একমাত্র আল্লাহর হাতে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:২৯:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আল্লাহই চূড়ান্ত সম্মান ও অপমানের মালিক
আল-মুঝিল আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম। এর অর্থ হলো অপমানকারী বা সম্মান হরণকারী। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সম্মান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন। দুনিয়ার কোনো ক্ষমতাশালী ব্যক্তি, শাসক বা ধনী মানুষই আল্লাহর এই বিধানের বাইরে নয়। সম্মান-অপমান কোনো মানুষের হাতে নেই, একমাত্র আল্লাহর হাতে। তিনি কাউকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেন, আবার কাউকে অপদস্থ করে নিচে নামিয়ে দেন।

আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে সম্মান ও হেয়ালত
মানুষ মাঝে মাঝে ভাবে, অর্থ-সম্পদ, পদমর্যাদা বা ক্ষমতা থাকলেই সে চিরকাল সম্মানিত থাকবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, যখন আল্লাহ কাউকে সম্মান থেকে বঞ্চিত করতে চান, তখন তার সব প্রতাপ ধুলোয় মিশে যায়। মহান আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন— “তুমি যাকে ইচ্ছা সম্মান দাও, যাকে ইচ্ছা অপমান কর। তোমার হাতেই সব কল্যাণ।” (সূরা আলে ইমরান ৩:২৬)। এই আয়াতই প্রমাণ করে যে সম্মান ও অপমান দুটোই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন।

অবাধ্যদের জন্য অপমান, মুমিনদের জন্য সম্মান
আল-মুঝিল নামের মাধ্যমে আমরা শিক্ষা পাই যে, যারা আল্লাহর অবাধ্যতা করে, অহংকার করে, মানুষের উপর জুলুম চালায়, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে লাঞ্ছনা অবধারিত। ইতিহাসে ফেরাউন, কারুন, নামরুদ কিংবা আবু জাহল— এরা সবাই আল্লাহর অবাধ্যতার কারণে শেষ পর্যন্ত অপমানিত হয়েছে। অন্যদিকে যারা আল্লাহর আনুগত্য করে, সত্যের পথে অবিচল থাকে, আল্লাহ তাদেরকে সম্মানিত করেন। দুনিয়ায় হয়তো তারা কষ্ট ভোগ করে, কিন্তু আখিরাতে তাদের মর্যাদা সর্বোচ্চ করা হবে।

অহংকার ত্যাগ ও বিনয় অবলম্বনের শিক্ষা
এই নাম আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, সম্মান পাওয়ার একমাত্র পথ হলো আল্লাহর কাছে বিনয়ী হওয়া। মানুষ যত বড়ই হোক, আল্লাহ যদি তাকে লাঞ্ছিত করেন, তবে কেউ তাকে রক্ষা করতে পারবে না। তাই আমাদের সবসময় আল্লাহর আনুগত্য করা, অহংকার ত্যাগ করা এবং মানুষের সাথে বিনয়ী আচরণ করা উচিত। কারণ সত্যিকারের সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহর কাছেই নিহিত।