০৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে হাজির হননি মোদি

মাত্র দুই দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকের হাসিমুখে আলাপের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং অনেকে এটিকে ওয়াশিংটনের ওপর নির্ভরশীল নয় এমন একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থার সূচনা হিসেবে দেখেছিলেন।

এই কারণে অনেকের প্রত্যাশা ছিল, মোদি আবারও চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত হয়ে শি জিনপিং এবং পুতিনের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করবেন। কিন্তু বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন।

ভারত ও চীনের সম্পর্ক বর্তমানে কিছু জটিলতার মধ্যে রয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করার ভারতীয় অস্বীকৃতি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের মতো বিষয়গুলো দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ককে আরও সংবেদনশীল করেছে। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে উচ্চ শুল্ক কার্যকর থাকা এবং চলমান ৯৯ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি সম্পর্কেও সতর্কতা বজায় আছে।

এশিয়ার শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে আরও একটি বড় সমস্যা হলো সামরিক এবং রাজনৈতিক রোষ। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারতের জনগণের মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে, সামরিক কুচকাওয়াজে দুই দেশের সৈন্য ও নেতাদের প্রশংসার সুযোগ এখনো এসেছে না।

ভারত বরং তার সাম্প্রতিক ক্ষত মেটানোর চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, চলতি বছরের মে মাসে পাকিস্তানের সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্রের বেশিরভাগ সরবরাহ এসেছে বেইজিং থেকে, যা ভারতকে আরও সতর্ক করেছে।

সুতরাং, মোদি চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত না হওয়ার পেছনে নিজস্ব কৌশল এবং হিসাব-নিকাশ কাজ করেছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক জটিলতা, শুল্ক ও বাণিজ্য দ্বন্দ্ব, এবং সামরিক চাপে ভারতে এ সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

ট্যাগ

চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে হাজির হননি মোদি

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৫৬:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাত্র দুই দিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। ওই বৈঠকের হাসিমুখে আলাপের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এবং অনেকে এটিকে ওয়াশিংটনের ওপর নির্ভরশীল নয় এমন একটি নতুন বিশ্বব্যবস্থার সূচনা হিসেবে দেখেছিলেন।

এই কারণে অনেকের প্রত্যাশা ছিল, মোদি আবারও চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত হয়ে শি জিনপিং এবং পুতিনের সঙ্গে মঞ্চ ভাগাভাগি করবেন। কিন্তু বাস্তবতা কিছুটা ভিন্ন।

ভারত ও চীনের সম্পর্ক বর্তমানে কিছু জটিলতার মধ্যে রয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করার ভারতীয় অস্বীকৃতি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের মতো বিষয়গুলো দিল্লি-বেইজিং সম্পর্ককে আরও সংবেদনশীল করেছে। এছাড়া, দুই দেশের মধ্যে উচ্চ শুল্ক কার্যকর থাকা এবং চলমান ৯৯ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি সম্পর্কেও সতর্কতা বজায় আছে।

এশিয়ার শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যে আরও একটি বড় সমস্যা হলো সামরিক এবং রাজনৈতিক রোষ। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পর ভারতের জনগণের মধ্যে চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ফলে, সামরিক কুচকাওয়াজে দুই দেশের সৈন্য ও নেতাদের প্রশংসার সুযোগ এখনো এসেছে না।

ভারত বরং তার সাম্প্রতিক ক্ষত মেটানোর চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, চলতি বছরের মে মাসে পাকিস্তানের সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্রের বেশিরভাগ সরবরাহ এসেছে বেইজিং থেকে, যা ভারতকে আরও সতর্ক করেছে।

সুতরাং, মোদি চীনের সামরিক কুচকাওয়াজে উপস্থিত না হওয়ার পেছনে নিজস্ব কৌশল এবং হিসাব-নিকাশ কাজ করেছে। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক জটিলতা, শুল্ক ও বাণিজ্য দ্বন্দ্ব, এবং সামরিক চাপে ভারতে এ সিদ্ধান্তকে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।