০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে রিট শুনতে অস্বীকৃতি হাইকোর্টের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে করা মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদারের রিট শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত জানায়, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যেই আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো রিট শুনবে না। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী রিটকারীর আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আগে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে রিট করা হয়েছিল, তখনও ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাবির ভিসি আমার আত্মীয় এবং ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগ হস্তক্ষেপ করেছে, তাই আমরা আর কোনো রিট শুনব না। আদালত আরও বলেন, রিটটি ভুল বুঝিয়ে মেনশন করা হয়েছে। যদি জানতাম এটি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে, তাহলে একেবারেই নিতাম না। পরে আদালত রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতকাল জুলিয়াস সিজার তালুকদার হাইকোর্টে এ রিট করেন। তিনি ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী ছিলেন এবং ব্যালট নম্বর পেয়েছিলেন ২৬। কিন্তু সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক হাউজ টিউটর তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে সুপারিশ পাঠালে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাতিল করে। জুলিয়াস অভিযোগ করেন, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এজন্য তিনি প্রথমে আইনি নোটিশ দেন, পরে হাইকোর্টে রিট করেন। তবে শেষ পর্যন্ত আদালত তা শোনেনি এবং কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়।

ট্যাগ

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে রিট শুনতে অস্বীকৃতি হাইকোর্টের

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:৩৩:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে করা মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদারের রিট শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। আদালত জানায়, ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ইতোমধ্যেই আপিল বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছে, তাই হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোনো রিট শুনবে না। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী রিটকারীর আইনজীবীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আগে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে রিট করা হয়েছিল, তখনও ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাবির ভিসি আমার আত্মীয় এবং ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগ হস্তক্ষেপ করেছে, তাই আমরা আর কোনো রিট শুনব না। আদালত আরও বলেন, রিটটি ভুল বুঝিয়ে মেনশন করা হয়েছে। যদি জানতাম এটি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে, তাহলে একেবারেই নিতাম না। পরে আদালত রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতকাল জুলিয়াস সিজার তালুকদার হাইকোর্টে এ রিট করেন। তিনি ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী ছিলেন এবং ব্যালট নম্বর পেয়েছিলেন ২৬। কিন্তু সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের এক হাউজ টিউটর তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আপিল ট্রাইব্যুনাল কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে সুপারিশ পাঠালে নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর বাতিল করে। জুলিয়াস অভিযোগ করেন, তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এজন্য তিনি প্রথমে আইনি নোটিশ দেন, পরে হাইকোর্টে রিট করেন। তবে শেষ পর্যন্ত আদালত তা শোনেনি এবং কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়।