০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিএনএ চুরি ঠেকাতে কিমের সতর্কতা

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজ শেষে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে কিমের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি। বুধবার (৪ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দীর্ঘ সময় কথা বলেন দুই নেতা। বৈঠকের পর টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা কিম জং উনের স্পর্শ করা প্রতিটি জায়গা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন। চেয়ারের হাতল, পিঠের অংশ এমনকি আলোচনার টেবিলও পরিষ্কার করা হয়। এমনকি কিম যে গ্লাস থেকে পানি পান করেছিলেন, সেটিও বিশেষভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।

রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাসেভ তার ‘ইউনাসেভ লাইভ’ চ্যানেলে এ প্রসঙ্গে বলেন, কিমের নিরাপত্তা কর্মীরা নেতার উপস্থিতির সমস্ত চিহ্ন যত্নসহকারে মুছে ফেলেন। তিনি যে গ্লাস ব্যবহার করেছেন তা সরিয়ে নেওয়া হয় এবং চেয়ারের কাপড় বা আসবাবপত্রের যে অংশগুলো তিনি স্পর্শ করেছেন সেগুলোও মুছে ফেলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত কিমের ডিএনএ-এর চিহ্ন মুছে ফেলার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

যদিও চীনে কিমের এই অতিরিক্ত সতর্কতার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি, বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বা চীনের গোয়েন্দা নজরদারির আশঙ্কায় উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

কেবল কিম জং উনই নন, এমন সতর্কতা মেনে চলার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও পরিচিত। জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে বিদেশ সফরের সময় পুতিনের দেহরক্ষীরা তার মল-মূত্র বিশেষ ব্যাগে ভরে সংগ্রহ করেন এবং পরে সেগুলো রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন, যাতে কোনো রাষ্ট্র তার ডিএনএ চুরি করতে না পারে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময়ও একই প্রটোকল অনুসরণ করা হয়। তখন পুতিনের মানববর্জ্য একটি সুটকেসে ভরে নিরাপত্তাকর্মীরা মস্কোয় ফিরিয়ে আনেন।

ট্যাগ

ডিএনএ চুরি ঠেকাতে কিমের সতর্কতা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজ শেষে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠককে ঘিরে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে কিমের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি। বুধবার (৪ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দীর্ঘ সময় কথা বলেন দুই নেতা। বৈঠকের পর টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা কিম জং উনের স্পর্শ করা প্রতিটি জায়গা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করছেন। চেয়ারের হাতল, পিঠের অংশ এমনকি আলোচনার টেবিলও পরিষ্কার করা হয়। এমনকি কিম যে গ্লাস থেকে পানি পান করেছিলেন, সেটিও বিশেষভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।

রুশ সাংবাদিক আলেকজান্ডার ইউনাসেভ তার ‘ইউনাসেভ লাইভ’ চ্যানেলে এ প্রসঙ্গে বলেন, কিমের নিরাপত্তা কর্মীরা নেতার উপস্থিতির সমস্ত চিহ্ন যত্নসহকারে মুছে ফেলেন। তিনি যে গ্লাস ব্যবহার করেছেন তা সরিয়ে নেওয়া হয় এবং চেয়ারের কাপড় বা আসবাবপত্রের যে অংশগুলো তিনি স্পর্শ করেছেন সেগুলোও মুছে ফেলা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত কিমের ডিএনএ-এর চিহ্ন মুছে ফেলার জন্যই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে।

যদিও চীনে কিমের এই অতিরিক্ত সতর্কতার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি, বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, রাশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী বা চীনের গোয়েন্দা নজরদারির আশঙ্কায় উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের সতর্কতা নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।

কেবল কিম জং উনই নন, এমন সতর্কতা মেনে চলার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও পরিচিত। জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে বিদেশ সফরের সময় পুতিনের দেহরক্ষীরা তার মল-মূত্র বিশেষ ব্যাগে ভরে সংগ্রহ করেন এবং পরে সেগুলো রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিয়ে আসেন, যাতে কোনো রাষ্ট্র তার ডিএনএ চুরি করতে না পারে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময়ও একই প্রটোকল অনুসরণ করা হয়। তখন পুতিনের মানববর্জ্য একটি সুটকেসে ভরে নিরাপত্তাকর্মীরা মস্কোয় ফিরিয়ে আনেন।