১২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিগারেট খাওয়া নিষেধ করায় সোহাগ পরিবহনে হামলা

রাজধানীর মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে সিগারেট খাওয়া নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে রাত ১১:৩০ মিনিটের দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কাউন্টারের ১৪ থেকে ১৫ কর্মচারীসহ মালিক আলী হাসান তালুকদার পলাশ আহত হয়েছেন। পাশাপাশি পলাশের বাসায়ও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন পলাশের ড্রাইভার মাসুদ, যাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোহাগ পরিবহনের পক্ষ দাবি করেছে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লালের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জন মিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা কাউন্টারে ঢুকে আসবাবপত্র ও কাচ ভাঙচুর করেছে এবং কিছু নিরীহ যাত্রীকেও মারধর করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কাউন্টারের কর্মীরা জানান, রাত ১১টার দিকে দুই যুবক কাউন্টারের সামনে সিগারেট খাচ্ছিলেন। কাউন্টার কর্তৃপক্ষ তাদের ধূমপান দূরে গিয়ে করতে বললে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর ওই দুই যুবক ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টারে হামলা চালায়।

আলী হাসান তালুকদারের ভাই মাজেদুল হক নাদিম জানিয়েছেন, “রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লালের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। পলাশ ভাইকে আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাসার গেটেও হামলা হয়েছে, তবে ভিতরে ঢুকতে পারেনি। গাড়ির ড্রাইভারও গুরুতর আহত হয়েছেন।”

রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এআই আশরাফুল ইসলাম জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। উপপরিদর্শক মো. নাহিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৬০ থেকে ৭০ জন লোক কাউন্টারে এসে এলোপাথারি মারপিট ও ভাঙচুর করেছে। দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন, আরও অনেকে আহত হয়েছেন। হামলার নেপথ্যের কারণ জানার জন্য ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

সিগারেট খাওয়া নিষেধ করায় সোহাগ পরিবহনে হামলা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:১৭:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মালিবাগে সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে সিগারেট খাওয়া নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে রাত ১১:৩০ মিনিটের দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কাউন্টারের ১৪ থেকে ১৫ কর্মচারীসহ মালিক আলী হাসান তালুকদার পলাশ আহত হয়েছেন। পাশাপাশি পলাশের বাসায়ও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। হামলা ঠেকাতে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন পলাশের ড্রাইভার মাসুদ, যাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোহাগ পরিবহনের পক্ষ দাবি করেছে, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বিল্লালের নেতৃত্বে ৬০ থেকে ৭০ জন মিলে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়েছে। তারা কাউন্টারে ঢুকে আসবাবপত্র ও কাচ ভাঙচুর করেছে এবং কিছু নিরীহ যাত্রীকেও মারধর করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও কাউন্টারের কর্মীরা জানান, রাত ১১টার দিকে দুই যুবক কাউন্টারের সামনে সিগারেট খাচ্ছিলেন। কাউন্টার কর্তৃপক্ষ তাদের ধূমপান দূরে গিয়ে করতে বললে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর ওই দুই যুবক ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি দল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কাউন্টারে হামলা চালায়।

আলী হাসান তালুকদারের ভাই মাজেদুল হক নাদিম জানিয়েছেন, “রমনা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি বিল্লালের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। পলাশ ভাইকে আক্রমণ করে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাসার গেটেও হামলা হয়েছে, তবে ভিতরে ঢুকতে পারেনি। গাড়ির ড্রাইভারও গুরুতর আহত হয়েছেন।”

রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার এআই আশরাফুল ইসলাম জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। উপপরিদর্শক মো. নাহিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৬০ থেকে ৭০ জন লোক কাউন্টারে এসে এলোপাথারি মারপিট ও ভাঙচুর করেছে। দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন, আরও অনেকে আহত হয়েছেন। হামলার নেপথ্যের কারণ জানার জন্য ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আহতদের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।