০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনলাইনে চাকরির ফাঁদে কোটি টাকার প্রতারণা:

অনলাইনে চাকরির প্রলোভন ও টেলিগ্রাম অ্যাপের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযান ও গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি, ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা আকাশ (২২), রাশাদ (২৮) ও তাদের সহযোগী আসাদ (৩০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং স্বল্প বিনিয়োগে কয়েকগুণ মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে আসছিল। টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ নেওয়া হতো, আর বিনিময়ে দ্রুত মুনাফার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

সিআইডি ধারণা করছে, এই চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। এ কারণে বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং বিভিন্ন ছদ্মনামে নিবন্ধিত সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অনলাইনে চাকরি ও বিনিয়োগের নামে সক্রিয় প্রতারক চক্রগুলোকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান আরও জোরদার করা হবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে এসব অনলাইন প্রলোভনে না পড়ার পরামর্শ দিয়েছে সিআইডি।

ট্যাগ

অনলাইনে চাকরির ফাঁদে কোটি টাকার প্রতারণা:

প্রকাশিত হয়েছে: ০৮:০১:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অনলাইনে চাকরির প্রলোভন ও টেলিগ্রাম অ্যাপের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

অভিযান ও গ্রেপ্তার

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ধানমন্ডি, ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম ও দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে একযোগে অভিযান চালিয়ে চক্রের মূলহোতা আকাশ (২২), রাশাদ (২৮) ও তাদের সহযোগী আসাদ (৩০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এবং স্বল্প বিনিয়োগে কয়েকগুণ মুনাফা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতিয়ে আসছিল। টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা বিনিয়োগ নেওয়া হতো, আর বিনিময়ে দ্রুত মুনাফার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।

সিআইডি ধারণা করছে, এই চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। এ কারণে বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত একাধিক অ্যান্ড্রয়েড ফোন এবং বিভিন্ন ছদ্মনামে নিবন্ধিত সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, অনলাইনে চাকরি ও বিনিয়োগের নামে সক্রিয় প্রতারক চক্রগুলোকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান আরও জোরদার করা হবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে এসব অনলাইন প্রলোভনে না পড়ার পরামর্শ দিয়েছে সিআইডি।