
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকে আটক করা হয়। এর আগে মূল আসামি মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মো. আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে খিলগাঁও দক্ষিণ সিগন্যালে ডিউটিতে ছিলেন কনস্টেবল রবিউল ইসলাম। ওই সময় সিগন্যালে আটকে পড়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ডা. আনোয়ার প্রথমে কনস্টেবলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। পুলিশ সদস্য প্রতিবাদ করলে হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন তিনি।
কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। ডা. আনোয়ার ১০-১২ জন সহযোগীকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে ঘটনাস্থলে ফিরে আসেন। তারা একযোগে কনস্টেবল রবিউল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। হামলার সময় এগিয়ে আসা সহকর্মী এএসআই রবিউল হাসানকেও আঘাত করা হয় এবং তার পোশাকের হ্যান্ডব্যাজ ছিঁড়ে ফেলা হয়।
খবর পেয়ে আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করেন। পরে কনস্টেবল রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই প্রধান আসামি ডা. আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ আসামি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুকেও আটক করেছে পুলিশ।
সিআইডির কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন জানান, এই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার মতো গুরুতর অপরাধ কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”