রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার কবর অবমাননা এবং তার মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সরকার জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই ঘটনার নাম ‘অমানবিক ও ঘৃণ্য’ উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, এ ধরনের বর্বরতা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না এবং আইনের শাসন, জীবন ও মৃত্যুর মর্যাদা রক্ষায় সরকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঘটনার সময় জুমার নামাজের পর উত্তেজিত জনতা নুরাল পাগলার আস্তানায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। পুলিশের দুটি পিকআপ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর হয়। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, নুরাল পাগলা আশির দশকের শেষ দিকে নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করেছিলেন। ১৯৯৩ সালের ২৩ মার্চ এলাকা ছাড়লেও পরে আবার কার্যক্রম শুরু করেন। গত ২৩ আগস্ট বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় তার মৃত্যু হয়। পরে তার মরদেহ ১২ ফুট উঁচুতে কাবার আদলে স্থাপিত কবরস্থাপনায় দাফন করা হয়, যা স্থানীয় আলেম ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করে।
স্থানীয়রা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি গঠন করে প্রশাসনের কাছে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানায়। গোয়ালন্দ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন, যারা নিরাপত্তার স্বার্থে ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।