নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম কোরাইশ গোত্রে ছিল আল্লাহর এক বিশেষ ঐশী পরিকল্পনার অংশ। কোরাইশ গোত্র ছিল আরবদের মধ্যে সবচেয়ে সম্মানিত ও মর্যাদাসম্পন্ন, আর তার ভেতরেও বনু হাশিম পরিবার সামাজিক অবস্থান ও নৈতিক মর্যাদার দিক থেকে শীর্ষে ছিল। মহানবী (সা.)-কে এই পরিবারেই পাঠানো হয় যাতে তাঁর নবুয়তের দায়িত্ব সমাজে সহজেই গ্রহণযোগ্য হয় এবং তিনি মানুষদের নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্য মর্যাদা পান। ইসলামী ইতিহাসবিদদের মতে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এই বংশ নির্বাচনের পেছনে ছিল দূরদর্শী পরিকল্পনা, যাতে নবীর দাওয়াত অল্প সময়ে আরব সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
তবে ইসলাম স্পষ্ট শিক্ষা দেয় যে, কেবল বংশ বা জাতিগত পরিচয়ের মাধ্যমে মর্যাদা অর্জন সম্ভব নয়। প্রকৃত সম্মান লাভ হয় তাকওয়া, নেক আমল এবং আল্লাহভীতি দ্বারা। নবীজীর জীবনই এর সর্বোত্তম উদাহরণ, কারণ তিনি উচ্চ মর্যাদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও মানুষকে সবসময় শিক্ষা দিয়েছেন, আসল শ্রেষ্ঠত্ব হলো আল্লাহর আনুগত্য ও সৎকর্মে।
এভাবেই কোরাইশ গোত্রে নবীজীর জন্ম শুধু একটি পারিবারিক বা সামাজিক ঘটনা নয়, বরং তা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত এক মহাপরিকল্পনা, যা নবুয়তের দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।