নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমন ছিল বহু পূর্বের ঐশী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। তিনি নিজেই তাঁর পরিচয় তুলে ধরে বলেছেন, “আমি হচ্ছি আমার পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া এবং আমার ভাই ঈসা (আ.)-এর সুসংবাদ।” ইবরাহিম (আ.) কাবা শরিফ নির্মাণ শেষে মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন—“হে আমাদের প্রতিপালক, তাদের মধ্য থেকে একজন রাসুল পাঠিয়ে দিন, যিনি তাদের তোমার আয়াত শিক্ষা দেবেন এবং তাদের পরিশুদ্ধ করবেন।” এই দোয়ারই পূর্ণতা ঘটেছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমে।
অন্যদিকে, ঈসা (আ.) বনী ইসরাইলের কাছে ভাষণ দিতে গিয়ে সুসংবাদ দিয়েছিলেন, তাঁর পরে আসবেন এক নবী, যাঁর নাম হবে আহমদ। এই ঘোষণা ছিল মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুয়তের স্পষ্ট পূর্বাভাস।
মহানবী (সা.)-এর মা আমিনা বিনতে ওহাব গর্ভাবস্থায় স্বপ্নে দেখেছিলেন যে, তাঁর দেহ থেকে এমন এক আলো বের হচ্ছে, যা সিরিয়ার প্রাসাদগুলো পর্যন্ত আলোকিত করছে। এটি ছিল ভবিষ্যতে নবীজীর দায়িত্ব ও ইসলামের বিশ্বব্যাপী বিস্তারের আভাস।
এভাবে প্রমাণিত হয়, মহানবী (সা.)-এর আগমন কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না, বরং তা ছিল ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া, ঈসা (আ.)-এর সুসংবাদ এবং আল্লাহর ঐশী পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।