
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ করার উদ্যোগ নিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের ফ্যাক্টশিট অনুযায়ী, ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটে হেগসেথ তার পদবি হিসেবে ‘যুদ্ধমন্ত্রী’ এবং উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী ‘যুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী’ ব্যবহার করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রাম্প শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) এই সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে পারেন। এর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে নির্দেশনা দেওয়া হবে যেন এই নাম পরিবর্তনকে স্থায়ী করার জন্য আইনগত ও প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একাধিক নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছেন। মেক্সিকো উপসাগরের নাম পরিবর্তন করে দিয়েছেন ‘আমেরিকা উপসাগর’। এছাড়া বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যেসব সামরিক ঘাঁটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল, সেগুলো আবার আগের নাম ফিরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপও নিয়েছেন তিনি।
১৯৪৯ সালের আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম ছিল ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’। ঠান্ডা যুদ্ধ এবং পারমাণবিক সংঘাত ঠেকানোর বার্তা দিতে সে সময় নাম পরিবর্তন করা হয়। এবার আবারও সেই নাম ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে এই পরিবর্তনের কারণে বিপুল অর্থ ব্যয় হবে। সরকারি ওয়েবসাইট, সাইনবোর্ড, কাগজপত্র, অফিসিয়াল যোগাযোগসহ সর্বত্র নতুন নাম প্রয়োগ করতে হবে।
আগের প্রশাসনে নাম পরিবর্তনের জন্যও বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছিল। জো বাইডেনের আমলে কনফেডারেট নেতাদের নামে থাকা নয়টি সামরিক ঘাঁটির নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে সেনাবাহিনীর প্রায় ৩৯ মিলিয়ন ডলার খরচ হওয়ার কথা ছিল। তবে চলতি বছরের শুরুতে সেই উদ্যোগ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বাতিল করেন।
👉 ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন পদক্ষেপকে কেউ শক্তি প্রদর্শনের প্রতীক বলছেন, আবার কেউ এটিকে বিতর্কিত ও ব্যয়বহুল নাটকীয় পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন।