১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহানবী (সা.)-এর পূর্ণ নাম ও বংশধারা প্রকাশ

নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ণ নাম ও বংশধারা ইসলামী ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ইমাম বুখারী (রহ.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী তাঁর পূর্ণ নাম হলো আবুল কাসিম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদু মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব ইবনে মুররাহ ইবনে কা’ব ইবনে লুয়ি ইবনে গালিব ইবনে ফিহর ইবনে মালিক ইবনে নাযর ইবনে কিনানা ইবনে খুযাইমা ইবনে মুদরিকা ইবনে ইলিয়াস ইবনে মুযার ইবনে নিযার ইবনে মাদ ইবনে আদনান। ইতিহাসবিদরা একমত যে, আদনান ছিলেন নবী ইসমাইল (আ.)-এর সরাসরি বংশধর। তবে আদনান থেকে ইসমাইল (আ.) পর্যন্ত প্রজন্মের সংখ্যা ও নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইসলামী গবেষকদের মতে আদনান পর্যন্ত বংশতালিকা নির্ভরযোগ্য এবং সর্বজনস্বীকৃত।

সহিহ মুসলিম শরিফে নবী করিম (সা.)-এর একটি হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ ইবরাহিমের সন্তানদের মধ্য থেকে ইসমাইলকে, ইসমাইলের বংশ থেকে কিনানাকে, কিনানা থেকে কুরাইশকে, কুরাইশ থেকে বনু হাশিমকে এবং বনু হাশিম থেকে তাঁকেই নির্বাচিত করেছেন। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, নবুয়তের মর্যাদার জন্য মহানবী (সা.)-এর বংশধারা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিশেষ নির্বাচন।

এভাবেই প্রমাণিত হয়, প্রিয়নবী (সা.)-এর আগমন শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, বরং ছিল ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া ও আল্লাহর পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন। তাঁর বংশ, চরিত্র ও জীবন সবদিক থেকেই মানবজাতির ইতিহাসে অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে।

ট্যাগ

মহানবী (সা.)-এর পূর্ণ নাম ও বংশধারা প্রকাশ

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৫৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্ণ নাম ও বংশধারা ইসলামী ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ইমাম বুখারী (রহ.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী তাঁর পূর্ণ নাম হলো আবুল কাসিম মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব ইবনে হাশিম ইবনে আবদু মানাফ ইবনে কুসাই ইবনে কিলাব ইবনে মুররাহ ইবনে কা’ব ইবনে লুয়ি ইবনে গালিব ইবনে ফিহর ইবনে মালিক ইবনে নাযর ইবনে কিনানা ইবনে খুযাইমা ইবনে মুদরিকা ইবনে ইলিয়াস ইবনে মুযার ইবনে নিযার ইবনে মাদ ইবনে আদনান। ইতিহাসবিদরা একমত যে, আদনান ছিলেন নবী ইসমাইল (আ.)-এর সরাসরি বংশধর। তবে আদনান থেকে ইসমাইল (আ.) পর্যন্ত প্রজন্মের সংখ্যা ও নাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইসলামী গবেষকদের মতে আদনান পর্যন্ত বংশতালিকা নির্ভরযোগ্য এবং সর্বজনস্বীকৃত।

সহিহ মুসলিম শরিফে নবী করিম (সা.)-এর একটি হাদিসে বলা হয়েছে, আল্লাহ ইবরাহিমের সন্তানদের মধ্য থেকে ইসমাইলকে, ইসমাইলের বংশ থেকে কিনানাকে, কিনানা থেকে কুরাইশকে, কুরাইশ থেকে বনু হাশিমকে এবং বনু হাশিম থেকে তাঁকেই নির্বাচিত করেছেন। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে, নবুয়তের মর্যাদার জন্য মহানবী (সা.)-এর বংশধারা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত বিশেষ নির্বাচন।

এভাবেই প্রমাণিত হয়, প্রিয়নবী (সা.)-এর আগমন শুধু একটি ঐতিহাসিক ঘটনা নয়, বরং ছিল ইবরাহিম (আ.)-এর দোয়া ও আল্লাহর পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন। তাঁর বংশ, চরিত্র ও জীবন সবদিক থেকেই মানবজাতির ইতিহাসে অনন্য উদাহরণ হয়ে আছে।