শিক্ষার্থী ও জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি।
এর মধ্য দিয়ে দেশের ১৭ বছরে ১৪তম সরকারের পতন ঘটল।
বিস্তারিত জানানো হয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে নেপাল রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রবেশ করেছে। ওই বছর থেকে এ পর্যন্ত ১৭ বছরে যে ১৪টি সরকার ক্ষমতায় এসেছে, কোনোটি পূর্ণ ৫ বছরের মেয়াদ পালন করতে পারেনি।
সম্পূর্ণ রাজতন্ত্র প্রচলিত।
‘রানা’ রাজারা ক্ষমতায়, প্রধানমন্ত্রী সহায়ক।
গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের মাধ্যমে রানাদের পতন।
রাজা মহেন্দ্র রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ।
ক্ষমতা এককভাবে রাজতন্ত্রের হাতে কেন্দ্রীভূত।
নির্বাচিত এমপিরা পার্লামেন্টে আসেন, কিন্তু দল হিসেবে পরিচয় দিতে পারেননি।
জনগণ বিক্ষোভ শুরু।
রাজা বীরেন্দ্র রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন।
বহুদলীয় গণতন্ত্রে প্রবেশ।
মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টি আন্দোলন শুরু।
দশকব্যাপী সংঘর্ষে নিহত ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
২০০৬ সালে মাওবাদীদের বিজয়; রাজতন্ত্র বিলোপ।
নেপাল গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
১৭ বছরে ১৪টি সরকার ক্ষমতায় আসে।
কোনো সরকারই ৫ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেনি।
চলতি বছরে কে পি শর্মা অলি’র সরকার এক বছরের মাথায় পতিত।
কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ।
সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানো হয়।
রাজতন্ত্র বিলোপের পরও নেপাল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে এগোয়নি। ক্ষমতায় আসা কোনো সরকারই আড়াই বছরের বেশি টিকে পারেনি। মার্চে কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিক্ষোভ হয়, যা সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে সামলানো হয়।
এবারের ঘটনা প্রমাণ করে, নেপালের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ, এবং গণতান্ত্রিক কাঠামোর স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে চ্যালেঞ্জ অব্যাহত।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।