০১:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“বাংলাদেশের রাজনীতি চোরের খনি দিয়ে শুরু হয়েছে”

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি চোরের খনি দিয়ে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সবাই পেয়েছে সোনার খনি ও তেলের খনি, কিন্তু আমি পেয়েছি চোরের খনি। ১৯৭৩ সালে ভোট চুরির মাধ্যমে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির সূচনা হয়। এর পর থেকে শুরু হয় সম্পদ লুটপাট। বাপ চোরের খনি আবিষ্কার করেছিলেন, আর মেয়ে হাসিনা ডাকাতের খনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, জনগণের টাকা এবং কৃষক-শ্রমিকের ঘাম ঝরানো অর্থ লুটপাট করে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এক জন ক্ষমতাসীন নেতা মাত্র একজন পিয়নকে ৪০০ কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। তবে দেশের জনগণ এই ক্ষমতার স্বপ্ন চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছে।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তিনটি মৌলিক দাবির পক্ষে একত্রিত হয়েছে—

  1. রাষ্ট্র সংস্কার

  2. গণহত্যার বিচার

  3. জাতীয় নির্বাচনে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি

তিনি জানান, ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ এবং এবি পার্টি এই লক্ষ্য নিয়ে একতাবদ্ধ হয়েছে। গত ৫৩ বছরে যারা দেশে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে এবং দেশের অবস্থা ‘জঙ্গল রাষ্ট্র’ বানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সামনে রাখা হয়েছে।

সমাবেশের পরে একটি গণমিছিল লিল্লাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মো. ইমরান হোসাইন নুর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল কেএম বিল্লাল হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা আমীর এসইউএম রুহুল আমীন ভূঁইয়া, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি লোকমান হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি নুর মোহাম্মদ, হেফাজতে ইসলাম জেলা প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, যুব আন্দোলন জেলা সভাপতি মোখলেসুর রহমান, শ্রমিক আন্দোলন জেলা সভাপতি নাছির আহমেদ এবং ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহা. ইউনুস খাঁন।

জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা ইউসুফ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশটি পরিচালিত হয়।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

“বাংলাদেশের রাজনীতি চোরের খনি দিয়ে শুরু হয়েছে”

প্রকাশিত হয়েছে: ০৯:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি চোরের খনি দিয়ে শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সবাই পেয়েছে সোনার খনি ও তেলের খনি, কিন্তু আমি পেয়েছি চোরের খনি। ১৯৭৩ সালে ভোট চুরির মাধ্যমে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতির সূচনা হয়। এর পর থেকে শুরু হয় সম্পদ লুটপাট। বাপ চোরের খনি আবিষ্কার করেছিলেন, আর মেয়ে হাসিনা ডাকাতের খনি।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, জনগণের টাকা এবং কৃষক-শ্রমিকের ঘাম ঝরানো অর্থ লুটপাট করে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এক জন ক্ষমতাসীন নেতা মাত্র একজন পিয়নকে ৪০০ কোটি টাকার মালিক বানিয়েছে। তবে দেশের জনগণ এই ক্ষমতার স্বপ্ন চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছে।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তিনটি মৌলিক দাবির পক্ষে একত্রিত হয়েছে—

  1. রাষ্ট্র সংস্কার

  2. গণহত্যার বিচার

  3. জাতীয় নির্বাচনে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি

তিনি জানান, ইসলামী আন্দোলন, জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণঅধিকার পরিষদ এবং এবি পার্টি এই লক্ষ্য নিয়ে একতাবদ্ধ হয়েছে। গত ৫৩ বছরে যারা দেশে জঞ্জাল সৃষ্টি করেছে এবং দেশের অবস্থা ‘জঙ্গল রাষ্ট্র’ বানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য সামনে রাখা হয়েছে।

সমাবেশের পরে একটি গণমিছিল লিল্লাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মো. ইমরান হোসাইন নুর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল কেএম বিল্লাল হোসাইন, জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা আমীর এসইউএম রুহুল আমীন ভূঁইয়া, ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সহ-সভাপতি মহি উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি লোকমান হোসাইন, গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি নুর মোহাম্মদ, হেফাজতে ইসলাম জেলা প্রচার সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, যুব আন্দোলন জেলা সভাপতি মোখলেসুর রহমান, শ্রমিক আন্দোলন জেলা সভাপতি নাছির আহমেদ এবং ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহা. ইউনুস খাঁন।

জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে ও মাওলানা ইউসুফ আল মাহমুদের সঞ্চালনায় সমাবেশটি পরিচালিত হয়।