০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেরি, ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার একদিন পার হলেও ফলাফল ঘোষণা না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং দ্রুত ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণের পর এত সময় পার হয়ে গেলেও ফলাফল প্রকাশ না করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি পরিকল্পিতভাবে জাকসু নির্বাচন বন্ধ করার একটি পাঁয়তারা।

শিবির-সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম মাজহার বলেন, ২১টি হলের ভোট গণনা শেষ হলেও এখনো জাকসুর ভোট গণনা শুরু হয়নি। এটি জাকসু বন্ধের চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, শিক্ষার্থীরা কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না এবং অবিলম্বে ভোট গণনা শুরু করে ফলাফল দিতে হবে।

স্বতন্ত্র সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ভোটের পর একদিন পেরিয়ে গেলেও ফলাফল দিতে না পারা নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার প্রমাণ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রশাসন যদি দ্রুত ফলাফল ঘোষণা না করে, তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট ভবনে আনা হয় এবং রাত ১০টার দিকে গণনা কার্যক্রম শুরু হলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশে দেরি, ক্ষোভে ফুঁসছে শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:২২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার একদিন পার হলেও ফলাফল ঘোষণা না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং দ্রুত ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণের পর এত সময় পার হয়ে গেলেও ফলাফল প্রকাশ না করা অগ্রহণযোগ্য এবং এটি পরিকল্পিতভাবে জাকসু নির্বাচন বন্ধ করার একটি পাঁয়তারা।

শিবির-সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম মাজহার বলেন, ২১টি হলের ভোট গণনা শেষ হলেও এখনো জাকসুর ভোট গণনা শুরু হয়নি। এটি জাকসু বন্ধের চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, শিক্ষার্থীরা কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না এবং অবিলম্বে ভোট গণনা শুরু করে ফলাফল দিতে হবে।

স্বতন্ত্র সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ভোটের পর একদিন পেরিয়ে গেলেও ফলাফল দিতে না পারা নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার প্রমাণ। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রশাসন যদি দ্রুত ফলাফল ঘোষণা না করে, তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট শেষে ব্যালট বাক্সগুলো সিনেট ভবনে আনা হয় এবং রাত ১০টার দিকে গণনা কার্যক্রম শুরু হলেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।