০৯:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন চুয়াডাঙ্গার ১৬ জন

মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি জমা দিয়েই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন চুয়াডাঙ্গার ১৬ তরুণ-তরুণী। শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা নির্বাচিত হয়েছেন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন্স মাঠে শুরু হয় নিয়োগ কার্যক্রম। প্রথম ধাপে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও অন্যান্য পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। এতে অংশ নেন ২৮৪ জন চাকরিপ্রত্যাশী। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ৪৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারীসহ মোট ৫০ জন। পরবর্তীতে তারা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সবগুলো ধাপ অতিক্রম করে অবশেষে নির্বাচিত হন ১৪ জন তরুণ ও ২ জন তরুণী।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, নিয়োগের শুরু থেকেই বারবার প্রচারণা চালানো হয়েছে—এ নিয়োগে কোনো দালাল, প্রতারক বা অবৈধ প্রভাবের সুযোগ নেই। স্থানীয় ডিশ চ্যানেল, পত্রিকা, মাইকিং এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের সতর্ক করা হয়। পুলিশে যোগদানের একমাত্র পথ হলো প্রার্থীর নিজের মেধা ও যোগ্যতা।

ফলাফল ঘোষণার পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের চোখেমুখে ছিল আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। তারা জানান—নিজেদের যোগ্যতার মাধ্যমে দালাল ও অবৈধ প্রভাব ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হতে পেরে তারা গর্বিত। নিয়োগ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. আহসান হাবীব, মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ট্যাগ

১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেলেন চুয়াডাঙ্গার ১৬ জন

প্রকাশিত হয়েছে: ০৬:২১:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি জমা দিয়েই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন চুয়াডাঙ্গার ১৬ তরুণ-তরুণী। শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা নির্বাচিত হয়েছেন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৩ আগস্ট সকাল ৮টায় পুলিশ লাইন্স মাঠে শুরু হয় নিয়োগ কার্যক্রম। প্রথম ধাপে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও অন্যান্য পরীক্ষা শেষে অনুষ্ঠিত হয় লিখিত পরীক্ষা। এতে অংশ নেন ২৮৪ জন চাকরিপ্রত্যাশী। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে উত্তীর্ণ হন ৪৬ জন পুরুষ ও ৪ জন নারীসহ মোট ৫০ জন। পরবর্তীতে তারা মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। সবগুলো ধাপ অতিক্রম করে অবশেষে নির্বাচিত হন ১৪ জন তরুণ ও ২ জন তরুণী।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি হিসেবে পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, নিয়োগের শুরু থেকেই বারবার প্রচারণা চালানো হয়েছে—এ নিয়োগে কোনো দালাল, প্রতারক বা অবৈধ প্রভাবের সুযোগ নেই। স্থানীয় ডিশ চ্যানেল, পত্রিকা, মাইকিং এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে চাকরিপ্রত্যাশীদের সতর্ক করা হয়। পুলিশে যোগদানের একমাত্র পথ হলো প্রার্থীর নিজের মেধা ও যোগ্যতা।

ফলাফল ঘোষণার পর নতুন নিয়োগপ্রাপ্তদের চোখেমুখে ছিল আনন্দ ও উচ্ছ্বাস। তারা জানান—নিজেদের যোগ্যতার মাধ্যমে দালাল ও অবৈধ প্রভাব ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হতে পেরে তারা গর্বিত। নিয়োগ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক-সার্কেল) মো. আহসান হাবীব, মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল করিমসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।