আল্লাহর ৯৯টি সুন্দর নামের মধ্যে অন্যতম হলো আল-লতীফ (ٱللَّطِيف)। এর অর্থ অতি নম্র, সূক্ষ্ম জ্ঞানী ও দয়াশীল। এই নামের মাধ্যমে আল্লাহর সেই গুণ প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি বান্দাদের প্রতি অদৃশ্যভাবে দয়া ও রহমত পৌঁছে দেন।
আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর মধ্যে একটি হলো আল-লতীফ। এর অর্থ অতি নম্র, সূক্ষ্ম জ্ঞানী ও দয়াশীল। এই নামের মাধ্যমে আল্লাহর সেই বিশেষ গুণের পরিচয় পাওয়া যায়, যেখানে তিনি বান্দাদের প্রতি কোমল আচরণ করেন এবং অদৃশ্যভাবে কল্যাণ পৌঁছে দেন।
“লতীফ” শব্দের অর্থ হলো— অতি কোমল, সূক্ষ্ম, দয়াশীল ও এমন জ্ঞানী যিনি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিষয়ও অবগত থাকেন। আল্লাহ এমনভাবে দয়া করেন যে বান্দা অনেক সময় টেরই পায় না, কষ্ট লাঘব হয়ে যায় বা অপ্রত্যাশিতভাবে রিজিক এসে পৌঁছে যায়। এটিই আল্লাহর সূক্ষ্ম দয়া বা লতফ।
কুরআনে আল্লাহ বলেন—
“আল্লাহ বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত লতীফ (কোমল ও সূক্ষ্ম দয়াশীল), তিনি যাকে ইচ্ছা রিযিক দেন; আর তিনি পরাক্রমশালী, পরম শক্তিমান।”
(সূরা আশ-শূরা, ৪২:১৯)
আল-লতীফ নাম থেকে মুসলমানের জন্য শিক্ষা হলো—
আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রাখা।
মানুষের সঙ্গে কোমল ও নম্র আচরণ করা।
গোপনে ভালো কাজ করা, যেমন দান-সদকা বা সাহায্য।
এই নাম বান্দাকে শেখায়, আল্লাহর রহমত ও সাহায্য সব সময় তার সঙ্গেই থাকে, যদিও তা সব সময় চোখে ধরা পড়ে না। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর উপর আস্থা রেখে, মানুষকে সহমর্মিতা ও দয়া প্রদর্শন করাই প্রকৃত ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।