ফরিদপুর-৪ (চরভদ্রাসন ও সদরপুর) এবং ফরিদপুর-৫ (ভাঙ্গা) সংসদীয় আসন পুনর্বহাল চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদনটি অনুমোদন করেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক জেলা সভাপতি আলহাজ্ব জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম এম শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের ১৬ জন ভোটার রিট দায়ের করেন।
তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব রিটটি দায়ের করেছেন। তিনি জানান, নির্বাচন কমিশন গত ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের প্রজ্ঞাপনে চরভদ্রাসন ও সদরপুরের অংশকে ফরিদপুর-৪ আসনে এবং ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ও হামিরদি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণী আইন ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫(ক) অনুচ্ছেদেও আপত্তি জানানো হয়েছে।
আইনজীবী ব্যারিস্টার পল্লব আরও বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন আইন ভঙ্গ করে ফরিদপুর-৪ ও ৫ আসন একত্রিত করে একটি আসনে রূপান্তরিত করে। পূর্বের রিট আবেদন নাকচ করে, ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ তে সংযুক্ত করা হয়েছে। এটি ২০২১ সালের সীমানা নির্ধারণী আইনের ৬ ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি জানান, নির্বাচনী আইনে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি প্রতিকার সীমিত থাকায় সংশ্লিষ্ট ধারা ও সংবিধানের অনুচ্ছেদ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।