১০:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভকারীরা থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুর চালান। দুপুর ১২টা ৪৫ থেকে ১টা ১৫ পর্যন্ত আধা ঘণ্টার মধ্যে তাণ্ডব চলে। উপজেলা পরিষদের হল রুমে ঢুকে শতাধিক চেয়ার, ১০টি ফ্যান ও ৩০টির বেশি লাইট ভাঙচুর করা হয়। তিনতলা ভবনের প্রতিটি তলায় সাতটি করে মোট ২১টি কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের কাচও ভাঙা হয়। পরিষদ চত্বর ও অফিসার্স ক্লাবের গ্যারেজে সাতটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। উপজেলা অফিসার্স ক্লাবও ভাঙচুরের শিকার হয়।

অন্যদিকে ভাঙ্গা থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের তিনটি গাড়ি ও একটি বড় রিজার্ভ ভ্যান ধ্বংস করা হয়। থানা প্রাঙ্গণে অন্তত চারটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। থানার ব্যানার ও ভবনের কাচও ভাঙচুরের মধ্যে পড়ে। ঘটনার পর পুরো ভাঙ্গা শান্ত রয়েছে, তবে ঢাকা-বরিশাল ও খুলনা মহাসড়ক অবরোধ চলছে। হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান জানান, সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, হামলার সময় বিক্ষোভকারীরা রামদা ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করেছে এবং পেট্রল দিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে বাধা দিতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি কেটে ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে স্থানীয়রা দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে। রোববার থেকে টানা তিন দিন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধের পর ভাঙ্গা সদরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।

ট্যাগ
জনপ্রিয় সংবাদ

সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডব

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিক্ষোভকারীরা থানা ও উপজেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুর চালান। দুপুর ১২টা ৪৫ থেকে ১টা ১৫ পর্যন্ত আধা ঘণ্টার মধ্যে তাণ্ডব চলে। উপজেলা পরিষদের হল রুমে ঢুকে শতাধিক চেয়ার, ১০টি ফ্যান ও ৩০টির বেশি লাইট ভাঙচুর করা হয়। তিনতলা ভবনের প্রতিটি তলায় সাতটি করে মোট ২১টি কক্ষে ভাঙচুর করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষের কাচও ভাঙা হয়। পরিষদ চত্বর ও অফিসার্স ক্লাবের গ্যারেজে সাতটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। উপজেলা অফিসার্স ক্লাবও ভাঙচুরের শিকার হয়।

অন্যদিকে ভাঙ্গা থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের তিনটি গাড়ি ও একটি বড় রিজার্ভ ভ্যান ধ্বংস করা হয়। থানা প্রাঙ্গণে অন্তত চারটি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। থানার ব্যানার ও ভবনের কাচও ভাঙচুরের মধ্যে পড়ে। ঘটনার পর পুরো ভাঙ্গা শান্ত রয়েছে, তবে ঢাকা-বরিশাল ও খুলনা মহাসড়ক অবরোধ চলছে। হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকিবুজ্জামান জানান, সড়কের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, হামলার সময় বিক্ষোভকারীরা রামদা ও লাঠিসোঁটা ব্যবহার করেছে এবং পেট্রল দিয়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে বাধা দিতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর-৪ আসন থেকে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন দুটি কেটে ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করার প্রতিবাদে স্থানীয়রা দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করছে। রোববার থেকে টানা তিন দিন মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সোমবার দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধের পর ভাঙ্গা সদরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।