১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রুশ তেল নিয়ে ট্রাম্পের চাপের কৌশল প্রত্যাখ্যান করল চীন

বেইজিং — রাশিয়ার জ্বালানি তেল ক্রয়কে ইস্যুতে পরিণত করে চীনকে চাপে রাখার মার্কিন কৌশল থেকে সরে আসতে ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। নতুবা এর ফল ‘ভালো হবে না’ বলে সরাসরি সতর্ক করেছে চীন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “রুশ তেল কেনাকে ইস্যু করে বেইজিংকে চাপে রাখার যে কৌশল ওয়াশিংটন নিয়েছে, তা তাদের একতরফা চিন্তাভাবনা, গুন্ডামি এবং অর্থনৈতিক জবরদস্তির আরেকটি উদাহরণ। রাশিয়ার কাছ থেকে চীন বৈধভাবে তেল কিনছে, যা দুই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতার অংশ। এর সঙ্গে চীনের জাতীয় স্বার্থ জড়িত, আর জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে চীন কখনও পিছু হটবে না।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্যসীমা নির্ধারণ করে। তবে চীন ও ভারত নিয়মিত রুশ তেল কিনছে এবং বর্তমানে এ দুই দেশই মস্কোর বৃহত্তম ক্রেতা।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, চীন ও ভারত রাশিয়াকে যুদ্ধ চালানোর অর্থ যোগাচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক বসিয়েছেন তিনি। চীনকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেছেন— বেইজিং যদি অবিলম্বে রুশ তেল কেনা বন্ধ না করে, তাহলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হবে। এছাড়া জি৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও চীনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প।

চীনের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “অতীতে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে, জবরদস্তি ও চাপ কখনো হৃদয়-মন জয় করতে পারে না, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।”

ট্যাগ

রুশ তেল নিয়ে ট্রাম্পের চাপের কৌশল প্রত্যাখ্যান করল চীন

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০৭:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেইজিং — রাশিয়ার জ্বালানি তেল ক্রয়কে ইস্যুতে পরিণত করে চীনকে চাপে রাখার মার্কিন কৌশল থেকে সরে আসতে ওয়াশিংটনকে আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং। নতুবা এর ফল ‘ভালো হবে না’ বলে সরাসরি সতর্ক করেছে চীন।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “রুশ তেল কেনাকে ইস্যু করে বেইজিংকে চাপে রাখার যে কৌশল ওয়াশিংটন নিয়েছে, তা তাদের একতরফা চিন্তাভাবনা, গুন্ডামি এবং অর্থনৈতিক জবরদস্তির আরেকটি উদাহরণ। রাশিয়ার কাছ থেকে চীন বৈধভাবে তেল কিনছে, যা দুই দেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও জ্বালানি খাতের সহযোগিতার অংশ। এর সঙ্গে চীনের জাতীয় স্বার্থ জড়িত, আর জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে চীন কখনও পিছু হটবে না।”

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্যসীমা নির্ধারণ করে। তবে চীন ও ভারত নিয়মিত রুশ তেল কিনছে এবং বর্তমানে এ দুই দেশই মস্কোর বৃহত্তম ক্রেতা।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, চীন ও ভারত রাশিয়াকে যুদ্ধ চালানোর অর্থ যোগাচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক বসিয়েছেন তিনি। চীনকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেছেন— বেইজিং যদি অবিলম্বে রুশ তেল কেনা বন্ধ না করে, তাহলে তাদের ওপর ১০০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা হবে। এছাড়া জি৭ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও চীনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপে চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প।

চীনের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, “অতীতে বহুবার প্রমাণিত হয়েছে, জবরদস্তি ও চাপ কখনো হৃদয়-মন জয় করতে পারে না, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে।”