
গাজায় মানবিক সংকট তীব্র:
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার বক্তব্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বিমান হামলায় মাত্র বুধবার একদিনেই কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৪১ জনই গাজা সিটিতে প্রাণ হারিয়েছেন। এই ভয়াবহ হামলা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার গাজাবাসী পায়ে হেঁটে, গাড়িতে এবং গাধার গাড়িতে করে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে পালিয়ে যাচ্ছেন। জীবন রক্ষাকারী এই পালানো প্রক্রিয়ায় একটি অস্থায়ী মানবিক করিডোর খোলা হয়েছে।
ইসরায়েলের ‘অস্থায়ী রুট’ ঘোষণা:
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি ‘অস্থায়ী পরিবহন রুট’ ঘোষণা করেছে। বাসিন্দাদের সালাহ আল-দিন স্ট্রিট হয়ে দক্ষিণে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার জন্য মাত্র ৪৮ ঘন্টার সময় দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণা আসে গাজা সিটিতে ইসরায়েলের ব্যাপক স্থল আক্রমণ শুরু করার মাত্র একদিন পরেই, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান নিয়ে আলোচনা:
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক প্রবীণ আলোচক রবার্ট ম্যালি এবং হুসেইন আগার একটি নতুন বই (“Tomorrow is Yesterday”) ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে। বইটিতে পরীক্ষা করা হয়েছে যে কীভাবে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রতি একগুঁয়ে আনুগত্য বাস্তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে এবং এর ঐতিহাসিক শিক্ষাগুলো উপেক্ষিত হয়েছে।
সুইদা প্রদেশে শান্তি উদ্যোগ:
অন্য একটি প্রসঙ্গে, সিরিয়ার সুইদা প্রদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় পরিকল্পনায় সম্মতি জানিয়েছে সিরিয়া, জর্ডান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গত জুলাই মাসে দ্রুজ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষের পর এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য। পরিকল্পনায় অভ্যন্তরীণ পুনর্মিলন প্রক্রিয়া শুরু করা এবং সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদেরকে বিচারের আওতায় আনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।