১০:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জান্নাতে যাওয়ার আগে পুলসিরাত অতিক্রম করতে হবে

প্রতীকী ছবি

হাশরের মাঠে জান্নাতের পথে জাহান্নামের উপর দিয়ে একটি সেতু থাকবে, যাকে পুলসিরাত বলা হয়। কোরআন ও হাদিসে এর স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়। কোরআনের সুরা মারইয়াম (আয়াত ৭১–৭২)-এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক মানুষকে জাহান্নামের উপর দিয়ে অতিক্রম করতেই হবে। মুত্তাকীদের আল্লাহ মুক্তি দেবেন, আর জালিমরা জাহান্নামে নতজানু অবস্থায় পড়ে থাকবে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন হাদিসে পুলসিরাতের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, এটি হবে জাহান্নামের উপর স্থাপিত একটি পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক সেতু। এতে থাকবে লোহার হুক, বর্শি ও কাঁটা, যা নাজদের সাদান গাছের কাঁটার মতো তীক্ষ্ণ।

মানুষের আমল অনুযায়ী এর উপর দিয়ে পার হওয়ার গতি ভিন্ন ভিন্ন হবে। কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুতের গতিতে, কেউ বাতাস বা উড়ন্ত পাখির মতো, আবার কেউ দৌড়ানো ঘোড়ার মতো দ্রুত পার হবে। অনেক মুমিন নিরাপদে পার হবে, কারও শরীর আগুনে জ্বলসে যাবে, আবার কেউ টেনে-হিঁচড়ে কোনোরকমে অতিক্রম করবে।

হাদিসে আরও বলা হয়েছে, মুমিনরা শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাবে, যদিও কেউ জাহান্নামে পড়ে গিয়েও শাফায়াতের মাধ্যমে উদ্ধার হবে। কিন্তু মুনাফিক ও কাফিররা পুলসিরাত পার হতে ব্যর্থ হয়ে সবাই জাহান্নামে পতিত হবে।

পুলসিরাতের এ বাস্তবতা মুমিনদের জন্য এক সতর্কবার্তা, যাতে তারা দুনিয়াতে ঈমান ও সৎকর্মে দৃঢ় থাকে এবং আখিরাতের এই কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

জান্নাতে যাওয়ার আগে পুলসিরাত অতিক্রম করতে হবে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৫:৫৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাশরের মাঠে জান্নাতের পথে জাহান্নামের উপর দিয়ে একটি সেতু থাকবে, যাকে পুলসিরাত বলা হয়। কোরআন ও হাদিসে এর স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়। কোরআনের সুরা মারইয়াম (আয়াত ৭১–৭২)-এ বলা হয়েছে, প্রত্যেক মানুষকে জাহান্নামের উপর দিয়ে অতিক্রম করতেই হবে। মুত্তাকীদের আল্লাহ মুক্তি দেবেন, আর জালিমরা জাহান্নামে নতজানু অবস্থায় পড়ে থাকবে।

রাসূলুল্লাহ ﷺ বিভিন্ন হাদিসে পুলসিরাতের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, এটি হবে জাহান্নামের উপর স্থাপিত একটি পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক সেতু। এতে থাকবে লোহার হুক, বর্শি ও কাঁটা, যা নাজদের সাদান গাছের কাঁটার মতো তীক্ষ্ণ।

মানুষের আমল অনুযায়ী এর উপর দিয়ে পার হওয়ার গতি ভিন্ন ভিন্ন হবে। কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুতের গতিতে, কেউ বাতাস বা উড়ন্ত পাখির মতো, আবার কেউ দৌড়ানো ঘোড়ার মতো দ্রুত পার হবে। অনেক মুমিন নিরাপদে পার হবে, কারও শরীর আগুনে জ্বলসে যাবে, আবার কেউ টেনে-হিঁচড়ে কোনোরকমে অতিক্রম করবে।

হাদিসে আরও বলা হয়েছে, মুমিনরা শেষ পর্যন্ত মুক্তি পাবে, যদিও কেউ জাহান্নামে পড়ে গিয়েও শাফায়াতের মাধ্যমে উদ্ধার হবে। কিন্তু মুনাফিক ও কাফিররা পুলসিরাত পার হতে ব্যর্থ হয়ে সবাই জাহান্নামে পতিত হবে।

পুলসিরাতের এ বাস্তবতা মুমিনদের জন্য এক সতর্কবার্তা, যাতে তারা দুনিয়াতে ঈমান ও সৎকর্মে দৃঢ় থাকে এবং আখিরাতের এই কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।