
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে ফ্রান্স এখন পর্যন্ত সামরিক ও আর্থিক সহায়তায় ৮.৬ বিলিয়ন ইউরোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আসন্ন একটি সরকারি প্রতিবেদনে এই সহায়তার ধরন ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর পরিবর্তনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
ফ্রান্স শুধু অস্ত্র সরবরাহেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং ইউক্রেনীয় সেনাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ও যুদ্ধ পরিচালনায় সক্ষম করে তোলার ক্ষেত্রেও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, গোলাবারুদ, সাঁজোয়া যান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম।
ফরাসি সামরিক বিশেষজ্ঞ গুইলাম আনসেল ফ্রান্স ২৪-কে বলেন, ফ্রান্সের অবদান নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সহায়তা একা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের মোড় ঘোরানোর মতো যথেষ্ট নয়। আনসেলের মতে, এই সহায়তা তখনই কার্যকর হবে যখন তা ইউক্রেনের অন্যান্য আন্তর্জাতিক মিত্রদের সহায়তার সঙ্গে একত্রে সমন্বিতভাবে ব্যবহার করা হবে।
রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত থাকায় ইউক্রেনের সামরিক চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ফ্রান্সের ধারাবাহিক সমর্থন কিয়েভের জন্য একটি শক্তিশালী কূটনৈতিক বার্তা, যা দেখায় যে ইউরোপের প্রধান শক্তিগুলোর একটি এখনো ইউক্রেনের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করছে।