১০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ভুয়া নথি তৈরি করেছে

ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে জাল নথি তৈরি ও ব্যবহার করছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত দেখানোর জন্য ভুয়া ও জাল নথি ব্যবহার করছে। এসব নথিতে দাবি করা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে—যা তিনি কখনোই দাবি করেননি।

টিউলিপের মুখপাত্র অভিযোগ করেন, তার আইনজীবী দল এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। বরং নথিগুলোতে একাধিক অসংগতি রয়েছে। যেমন—তার ঠিকানা হিসেবে ঢাকার একটি বাড়ির উল্লেখ রয়েছে, যা তার খালা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালিকানাধীন। অথচ টিউলিপের দাবি, তিনি কখনোই ওই বাড়িতে থাকেননি।

এছাড়া টিউলিপের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, তার কোনো এনআইডি নেই এবং শৈশবের পর থেকে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্টও ব্যবহার করেননি। তবুও এসব নথি একটি চলমান দুর্নীতির মামলায় তার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মামলাটিতে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালাকে প্রভাবিত করে পরিবারের জন্য জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। যদিও তিনি ও তার আইনজীবী দল অভিযোগটি ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।

টিউলিপের বাবা-মা বাংলাদেশি হওয়ায় আইনি অধিকার অনুযায়ী তিনি দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে পারতেন। তবে তিনি তা কখনো গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেছেন।

ট্যাগ

সাইয়েদুল ইস্তেগফার : সর্বশ্রেষ্ঠ ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ভুয়া নথি তৈরি করেছে

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক অভিযোগ করেছেন যে, বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে জাল নথি তৈরি ও ব্যবহার করছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত দেখানোর জন্য ভুয়া ও জাল নথি ব্যবহার করছে। এসব নথিতে দাবি করা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে—যা তিনি কখনোই দাবি করেননি।

টিউলিপের মুখপাত্র অভিযোগ করেন, তার আইনজীবী দল এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। বরং নথিগুলোতে একাধিক অসংগতি রয়েছে। যেমন—তার ঠিকানা হিসেবে ঢাকার একটি বাড়ির উল্লেখ রয়েছে, যা তার খালা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালিকানাধীন। অথচ টিউলিপের দাবি, তিনি কখনোই ওই বাড়িতে থাকেননি।

এছাড়া টিউলিপের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, তার কোনো এনআইডি নেই এবং শৈশবের পর থেকে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্টও ব্যবহার করেননি। তবুও এসব নথি একটি চলমান দুর্নীতির মামলায় তার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মামলাটিতে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালাকে প্রভাবিত করে পরিবারের জন্য জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। যদিও তিনি ও তার আইনজীবী দল অভিযোগটি ভিত্তিহীন দাবি করেছেন।

টিউলিপের বাবা-মা বাংলাদেশি হওয়ায় আইনি অধিকার অনুযায়ী তিনি দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে পারতেন। তবে তিনি তা কখনো গ্রহণ করেননি বলেও দাবি করেছেন।