০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যাত্রী চাপে মেট্রোরেলে নতুন ১০ ট্রিপ চালুর পরিকল্পনা

রাজধানীবাসীর কাছে দ্রুতগতির পরিবহন হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল। প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ যাত্রী এই বাহনে যাতায়াত করেন। বিশেষ দিনগুলোতে এ সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল, উত্তরা-মতিঝিল-উত্তরা রুটে দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা।

প্রায় আড়াই বছর ধরে নিয়মিত সেবা দিচ্ছে মেট্রোরেল। বর্তমানে দিনে প্রায় ২০০ ট্রিপ চলছে। তবে যাত্রী চাহিদা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় সবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এজন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে চাপ রয়েছে। তবে কোচ সংখ্যা এখনই বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) এখনো বসানো হয়নি, অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দেওয়া কঠিন, এবং বিদ্যুৎ লোড নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ৬ কোচের ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ যাত্রী ওঠার সুযোগ আছে। নতুন ১০ ট্রিপ চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২৩ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।

তবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রিপ বাড়ানোর চেয়ে কোচ বাড়ানোই বেশি কার্যকর সমাধান। তাদের মতে, বারবার নতুন ট্রেন চালালে ব্যয় বাড়বে, অথচ যাত্রীচাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পের শুরু থেকেই ৮ কোচের পরিকল্পনা ছিল। প্ল্যাটফর্ম নির্মাণও সে অনুযায়ী হয়েছে, তাই এখন কোচ বাড়াতে বাধা আসা উচিত নয়।

নতুন পরিকল্পনায় যাত্রীরা সকাল ৬টার পর থেকেই ট্রেনে উঠতে পারবেন। রাতেও সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে ১০টার পর। বর্তমানে শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে। ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, এটি নিয়ে স্টাডি চলছে, সবকিছু চূড়ান্ত হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মেট্রো একটি এনার্জি-হাঙরি পরিবহন ব্যবস্থা। বেশি ট্রিপ চালালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। তাই কোচ সংখ্যা বাড়ানোই এখন সময়ের দাবি।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

যাত্রী চাপে মেট্রোরেলে নতুন ১০ ট্রিপ চালুর পরিকল্পনা

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০১:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজধানীবাসীর কাছে দ্রুতগতির পরিবহন হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিদ্যুৎচালিত মেট্রোরেল। প্রতিদিন সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ যাত্রী এই বাহনে যাতায়াত করেন। বিশেষ দিনগুলোতে এ সংখ্যা সাড়ে চার লাখ ছাড়িয়ে যায়। শুরু থেকেই লক্ষ্য ছিল, উত্তরা-মতিঝিল-উত্তরা রুটে দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী পরিবহন করা।

প্রায় আড়াই বছর ধরে নিয়মিত সেবা দিচ্ছে মেট্রোরেল। বর্তমানে দিনে প্রায় ২০০ ট্রিপ চলছে। তবে যাত্রী চাহিদা ক্রমশ বেড়ে যাওয়ায় সবার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এজন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আরও ১০ ট্রিপ ট্রেন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে চাপ রয়েছে। তবে কোচ সংখ্যা এখনই বাড়ানো সম্ভব নয়। কারণ প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর (পিএসডি) এখনো বসানো হয়নি, অতিরিক্ত ব্যয় সামাল দেওয়া কঠিন, এবং বিদ্যুৎ লোড নিয়ে সংশয় রয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি ৬ কোচের ট্রেনে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩০০ যাত্রী ওঠার সুযোগ আছে। নতুন ১০ ট্রিপ চালু হলে প্রতিদিন অতিরিক্ত ২৩ হাজার যাত্রী পরিবহন সম্ভব হবে।

তবে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রিপ বাড়ানোর চেয়ে কোচ বাড়ানোই বেশি কার্যকর সমাধান। তাদের মতে, বারবার নতুন ট্রেন চালালে ব্যয় বাড়বে, অথচ যাত্রীচাহিদা অনুযায়ী প্রকল্পের শুরু থেকেই ৮ কোচের পরিকল্পনা ছিল। প্ল্যাটফর্ম নির্মাণও সে অনুযায়ী হয়েছে, তাই এখন কোচ বাড়াতে বাধা আসা উচিত নয়।

নতুন পরিকল্পনায় যাত্রীরা সকাল ৬টার পর থেকেই ট্রেনে উঠতে পারবেন। রাতেও সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে ১০টার পর। বর্তমানে শেষ ট্রেন ছাড়ে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে। ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, এটি নিয়ে স্টাডি চলছে, সবকিছু চূড়ান্ত হলে বিস্তারিত জানানো হবে।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, মেট্রো একটি এনার্জি-হাঙরি পরিবহন ব্যবস্থা। বেশি ট্রিপ চালালে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। তাই কোচ সংখ্যা বাড়ানোই এখন সময়ের দাবি।