
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আভাসের পর আফগান প্রতিক্রিয়া তীব্র হয়— ট্রাম্প বলেছেন তারা বাগ্রাম এয়ারবেস ফিরিয়ে পেতে চায়; এ বক্তব্যের পরে তালেবানসহ আফগান ভূখন্ডের প্রতিনিধিরা স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে কোনো বিদেশি বাহিনী তাদের সীমানায় স্থায়ীভাবে স্থান পাবে না এবং যদি আমেরিকা আফগানিস্তানের ঘাটি দখল করতে চায়, তবে তারা “আরও ২০ বছর যুদ্ধ করতে প্রস্তুত”। এই হুঁশিয়ারি ও প্রত্যাখ্যানের টोन আন্তর্জাতিক মঞ্চে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
ট্রাম্পের বক্তব্যে বলা হয়েছিল যে বাগ্রাম এয়ারবেস—যে ঘাঁটিটি দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত কেন্দ্র ছিল—ফিরে পেতে তিনি আগ্রহী; তিনি এ স্থানটির ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছিলেন যে বাগ্রাম ফিরিয়ে না দিলে “খারাপ ঘটনা” ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তালেবান ও আফগান কর্তৃপক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, দেশীয় সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখাই তাদের নীতি এবং তারা কোনো বাহিনীকে জমি ছাড়বে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর রিপোর্টে বলা হয়েছে যে এই বিবাদ কেবল নিযুক্ত ঘাঁটির মালিকানা নিয়ে সীমাবদ্ধ নয়; এতে রয়েছে অঞ্চলীয় নিরাপত্তা, প্রতিবেশী শক্তিগুলোর উদ্বেগ এবং আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব। বিশ্লেষকরা মনে করেন—যদি এ ধরনের চাপ চরমভাবে বাড়ে, তাহলে সীমান্ত সহপাঠে উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং স্থানীয় শান্তিচুক্তির স্থায়ীত্ব নড়বড়ে হতে পারে।
এ মুহূর্তে কূটনৈতিক চ্যানেলে মেরুকরণ চলছে; যুক্তরাষ্ট্র কিছু কূটনৈতিক ও নাগরিক ইস্যুতে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে—যদিও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই—তবে বাগ্রাম কল্পনা বাস্তবে পরিণত করার যে কোনো চেষ্টা কাঠামোগত বড় সিদ্ধান্ত এবং সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুতি দাবি করবে। অঞ্চলীয় অংশীদার-মধ্যপন্থী দেশগুলো এই দ্বন্দ্বকে শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পক্ষে জোর দিচ্ছে।