আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো আল-আযীম। এ নামের মধ্যে নিহিত আছে সর্বোচ্চ মর্যাদা, সম্মান, মহিমা, বড়ত্ব ও গৌরবের পূর্ণ প্রকাশ। আল্লাহই সেই সত্তা যিনি সমস্ত সৌন্দর্য ও জ্যোতির প্রকৃত উৎস, যেগুলো মানুষের হৃদয়কে মুগ্ধ করে এবং রূহকে বিনয়ী করে তোলে।
যারা আল্লাহকে সঠিকভাবে চেনেন, তারা উপলব্ধি করেন যে সৃষ্টির মধ্যে যত বড়ত্ব, মর্যাদা বা ক্ষমতাই দেখা যাক না কেন, তা আল্লাহর মহত্ত্ব ও সুমহানত্বের সামনে একেবারেই তুচ্ছ ও নগণ্য। তাঁর গৌরব, মাহাত্ম্য ও উচ্চ মর্যাদার তুলনা কোনো কিছুর সাথে করা যায় না।
আল্লাহর মহানত্বের বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ প্রতিটি গুণে মহান। তাঁকে সম্মান ও মহিমান্বিত করা প্রতিটি বান্দার জন্য ফরয। কোন সৃষ্টি তাঁর যথাযথ প্রশংসা করতে সক্ষম নয়। বান্দারা যতই প্রশংসা করুক না কেন, তা তাঁর প্রকৃত মর্যাদার তুলনায় সীমিত। আল্লাহ নিজেই নিজের প্রশংসাকারী, এবং তিনি নিজে যেভাবে নিজেকে বর্ণনা করেছেন, তিনিই ঠিক তেমনই।
আল্লাহর তা‘যীম (মহিমা স্বীকার) দুই প্রকার
সত্তাগত ও গুণগত পরিপূর্ণতা
আল্লাহ সর্বোচ্চ পূর্ণতার অধিকারী। তাঁর রয়েছে অসীম জ্ঞান, বাস্তবায়িত কুদরত, মহত্ত্ব, বড়ত্ব ও গৌরব। ইবন আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু) বর্ণনা করেছেন যে আসমান ও জমিন রহমানের (আল্লাহর) হাতের মুঠোয় একটি সরিষা দানার চেয়েও ক্ষুদ্র। এটি আল্লাহর বিরাটত্বের ক্ষুদ্র একটি উদাহরণ মাত্র।
বান্দার করণীয় সম্মান ও শ্রদ্ধা
আল্লাহর নাম, গুণাবলী, কিতাব, রাসূল ﷺ ও শরীয়তের নির্দেশাবলীকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় রাখা বান্দার দায়িত্ব। তাঁর হালাল-হারাম, ফরয-নাফিলসহ প্রতিটি সীমারেখাকে সম্মান করা আবশ্যক।
কুরআনের সাক্ষ্য
আল্লাহ বলেন—
وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
“আর তিনি অতি উঁচু, মহামর্যাদাপূর্ণ।”
(সূরা আল-বাকারা, ২:২৫৫)
প্রকাশক ও সম্পাদক
© কপিরাইট সমাচার বিশ্ব ২০২৫ | আমাদের ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।