০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিসেম্বরের মধ্যে সমঝোতা না হলে তুরস্কের সামরিক অভিযান আশঙ্কা

সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি আহমেদ শারা সতর্ক করে বলেছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এসডিজি (সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস) ও পিওয়াইডি (কুর্দি রাজনৈতিক সংগঠন) এর সাথে একীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে তুরস্ক উত্তর সিরিয়ায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে।

শারা মনে করেন, এই একীকরণ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ঝুলে আছে এবং এখন সময় এসেছে একটি কার্যকর রাজনৈতিক সমাধানের। তিনি বলেন, “যদি এই প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ না হয়, তাহলে তুরস্ক সামরিক পথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।”

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তাদের অভিযোগ, পিওয়াইডি ও এসডিজি সরাসরি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর সাথে যুক্ত, যেটিকে তুরস্ক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ কারণে আঙ্কারা একাধিকবার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক অভিযান চালিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার সরকারের এই সতর্কবার্তা মূলত আন্তর্জাতিক মহলকে চাপ দেওয়ার কৌশল, যাতে কুর্দি নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলো দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। অন্যদিকে, তুরস্কও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়লে তারা শক্তি প্রয়োগে দ্বিধা করবে না।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ডিসেম্বরের সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কি সমঝোতা বাস্তবায়িত হবে, নাকি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল আবারও নতুন এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মুখে পড়বে।

ট্যাগ

ডিসেম্বরের মধ্যে সমঝোতা না হলে তুরস্কের সামরিক অভিযান আশঙ্কা

প্রকাশিত হয়েছে: ০৭:৩৬:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি আহমেদ শারা সতর্ক করে বলেছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এসডিজি (সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস) ও পিওয়াইডি (কুর্দি রাজনৈতিক সংগঠন) এর সাথে একীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে তুরস্ক উত্তর সিরিয়ায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে।

শারা মনে করেন, এই একীকরণ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ঝুলে আছে এবং এখন সময় এসেছে একটি কার্যকর রাজনৈতিক সমাধানের। তিনি বলেন, “যদি এই প্রক্রিয়া ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ না হয়, তাহলে তুরস্ক সামরিক পথে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে।”

তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তর সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তাদের অভিযোগ, পিওয়াইডি ও এসডিজি সরাসরি কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর সাথে যুক্ত, যেটিকে তুরস্ক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এ কারণে আঙ্কারা একাধিকবার সীমান্তবর্তী এলাকায় সামরিক অভিযান চালিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার সরকারের এই সতর্কবার্তা মূলত আন্তর্জাতিক মহলকে চাপ দেওয়ার কৌশল, যাতে কুর্দি নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীগুলো দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। অন্যদিকে, তুরস্কও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়লে তারা শক্তি প্রয়োগে দ্বিধা করবে না।

এখন প্রশ্ন উঠছে, ডিসেম্বরের সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে কি সমঝোতা বাস্তবায়িত হবে, নাকি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল আবারও নতুন এক রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মুখে পড়বে।