১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীনের শেনজেনে ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার হয়েছে

ফিলিপাইনে আঘাত হানার পর সুপার টাইফুন রাগাসা দক্ষিণ চীনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এ কারণে চীনের শেনজেন কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

সোমবার বিকেলে ফিলিপাইনের কালায়ান দ্বীপে টাইফুনটি স্থলভাগে আঘাত হানে। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এর কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিমি, আর ঝোড়ো হাওয়া বইছিল ঘণ্টায় ২৯৫ কিমি বেগে। প্রবল বাতাসে ছাদ উড়ে গেছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বহু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।

ফিলিপাইনের উত্তর কাগায়ান প্রদেশের এক বাসিন্দা জানান, ঝড়ের শব্দ এতটাই ভয়াবহ ছিল যেন কোনো যন্ত্র ক্রমাগত চলছে। কালায়ান দ্বীপে একটি স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়ে একজন আহত হন। নারকেল গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ফিলিপাইনের ৩০টির বেশি প্রদেশে স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঝড়ের প্রভাবে চীনের গুয়াংডং প্রদেশের বিভিন্ন শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং গণপরিবহনও স্থগিত করা হয়েছে। হংকংভিত্তিক ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স ঘোষণা করেছে, টাইফুনের কারণে তারা ৫০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে, যা বৃহস্পতিবার পুনরায় চালুর আশা করা হচ্ছে।

তাইওয়ানে প্রবল বর্ষণ ও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন, রাগাসার ব্যাসার্ধ প্রায় ৩২০ কিমি, যা তাইওয়ানের কিছু অংশকে ইতিমধ্যেই প্রভাবিত করছে।

ফিলিপাইনের সরকারি বিশেষজ্ঞরা লুজন দ্বীপের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এদিকে দেশটিতে সম্প্রতি বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামার পর এই টাইফুন নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ট্যাগ

চীনের শেনজেনে ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার হয়েছে

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০০:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফিলিপাইনে আঘাত হানার পর সুপার টাইফুন রাগাসা দক্ষিণ চীনের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে। এ কারণে চীনের শেনজেন কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।

সোমবার বিকেলে ফিলিপাইনের কালায়ান দ্বীপে টাইফুনটি স্থলভাগে আঘাত হানে। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত এর কেন্দ্রস্থলে বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিমি, আর ঝোড়ো হাওয়া বইছিল ঘণ্টায় ২৯৫ কিমি বেগে। প্রবল বাতাসে ছাদ উড়ে গেছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বহু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে।

ফিলিপাইনের উত্তর কাগায়ান প্রদেশের এক বাসিন্দা জানান, ঝড়ের শব্দ এতটাই ভয়াবহ ছিল যেন কোনো যন্ত্র ক্রমাগত চলছে। কালায়ান দ্বীপে একটি স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়ে একজন আহত হন। নারকেল গাছ উপড়ে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ফিলিপাইনের ৩০টির বেশি প্রদেশে স্কুল ও সরকারি অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঝড়ের প্রভাবে চীনের গুয়াংডং প্রদেশের বিভিন্ন শহরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং গণপরিবহনও স্থগিত করা হয়েছে। হংকংভিত্তিক ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্স ঘোষণা করেছে, টাইফুনের কারণে তারা ৫০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে, যা বৃহস্পতিবার পুনরায় চালুর আশা করা হচ্ছে।

তাইওয়ানে প্রবল বর্ষণ ও বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয়দের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করেছেন, রাগাসার ব্যাসার্ধ প্রায় ৩২০ কিমি, যা তাইওয়ানের কিছু অংশকে ইতিমধ্যেই প্রভাবিত করছে।

ফিলিপাইনের সরকারি বিশেষজ্ঞরা লুজন দ্বীপের উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এদিকে দেশটিতে সম্প্রতি বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামার পর এই টাইফুন নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।