
হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন এবং প্রায় একশ বছর বেঁচেছিলেন। তাঁর ১৯ জন সন্তান ছিল, যাদের মধ্যে সুলায়মান (আ.) নবুওয়াত ও শাসনক্ষমতা উভয় দিক থেকেই পিতার উত্তরসূরি হন।
আল্লাহ তাঁকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন। তাঁর কণ্ঠ এত মধুর ছিল যে, জাবুর পাঠ করলে পশু-পাখি, এমনকি মাছও বিমোহিত হয়ে যেত। এজন্যই “দাউদী কণ্ঠস্বর” আজও একটি প্রবাদে রূপ নিয়েছে।
হজরত দাউদ (আ.)-এর অন্যতম বড় ইবাদতি বৈশিষ্ট্য ছিল এক দিন রোজা রাখা এবং এক দিন না রাখা—যা “দাউদী সিয়াম” নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি রাতকে তিনভাগে ভাগ করে ইবাদত করতেন:
-
অর্ধেক রাত ঘুমাতেন,
-
এক-তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন,
-
এবং বাকি ষষ্ঠাংশ আবার বিশ্রাম নিতেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে এ আমলকে সর্বাধিক প্রিয় আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন—
“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নামাজ ছিল দাউদ আলাইহিস সালামের নামাজ এবং সবচেয়ে প্রিয় রোজা ছিল তাঁর রোজা। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন, এক-তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন, আবার রাতের শেষ ষষ্ঠাংশে ঘুমাতেন। আর তিনি এক দিন রোজা রাখতেন, এক দিন বিরত থাকতেন।”
— (সহিহ বুখারি: ১১৩১, সহিহ মুসলিম: ১১৫৯)
✨ অর্থাৎ দাউদ (আ.)-এর আল্লাহপ্রিয় গুণ ছিল সময়কে সুষমভাবে ভাগ করে ইবাদত ও বিশ্রাম করা, এবং পরিমিতির সাথে ইবাদতের প্রতি আন্তরিক নিষ্ঠা।