০১:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হজরত দাউদ (আ.)-এর প্রিয় গুণ, যা আল্লাহ ভালোবাসতেন

হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন এবং প্রায় একশ বছর বেঁচেছিলেন। তাঁর ১৯ জন সন্তান ছিল, যাদের মধ্যে সুলায়মান (আ.) নবুওয়াত ও শাসনক্ষমতা উভয় দিক থেকেই পিতার উত্তরসূরি হন।

আল্লাহ তাঁকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন। তাঁর কণ্ঠ এত মধুর ছিল যে, জাবুর পাঠ করলে পশু-পাখি, এমনকি মাছও বিমোহিত হয়ে যেত। এজন্যই “দাউদী কণ্ঠস্বর” আজও একটি প্রবাদে রূপ নিয়েছে।

হজরত দাউদ (আ.)-এর অন্যতম বড় ইবাদতি বৈশিষ্ট্য ছিল এক দিন রোজা রাখা এবং এক দিন না রাখা—যা “দাউদী সিয়াম” নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি রাতকে তিনভাগে ভাগ করে ইবাদত করতেন:

  • অর্ধেক রাত ঘুমাতেন,

  • এক-তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন,

  • এবং বাকি ষষ্ঠাংশ আবার বিশ্রাম নিতেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে এ আমলকে সর্বাধিক প্রিয় আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন—

“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নামাজ ছিল দাউদ আলাইহিস সালামের নামাজ এবং সবচেয়ে প্রিয় রোজা ছিল তাঁর রোজা। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন, এক-তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন, আবার রাতের শেষ ষষ্ঠাংশে ঘুমাতেন। আর তিনি এক দিন রোজা রাখতেন, এক দিন বিরত থাকতেন।”
— (সহিহ বুখারি: ১১৩১, সহিহ মুসলিম: ১১৫৯)

✨ অর্থাৎ দাউদ (আ.)-এর আল্লাহপ্রিয় গুণ ছিল সময়কে সুষমভাবে ভাগ করে ইবাদত ও বিশ্রাম করা, এবং পরিমিতির সাথে ইবাদতের প্রতি আন্তরিক নিষ্ঠা।

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হজরত দাউদ (আ.)-এর প্রিয় গুণ, যা আল্লাহ ভালোবাসতেন

প্রকাশিত হয়েছে: ১০:০০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন বনী ইসরাঈলের নবী। চল্লিশ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াত লাভ করেন এবং প্রায় একশ বছর বেঁচেছিলেন। তাঁর ১৯ জন সন্তান ছিল, যাদের মধ্যে সুলায়মান (আ.) নবুওয়াত ও শাসনক্ষমতা উভয় দিক থেকেই পিতার উত্তরসূরি হন।

আল্লাহ তাঁকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছিলেন। তাঁর কণ্ঠ এত মধুর ছিল যে, জাবুর পাঠ করলে পশু-পাখি, এমনকি মাছও বিমোহিত হয়ে যেত। এজন্যই “দাউদী কণ্ঠস্বর” আজও একটি প্রবাদে রূপ নিয়েছে।

হজরত দাউদ (আ.)-এর অন্যতম বড় ইবাদতি বৈশিষ্ট্য ছিল এক দিন রোজা রাখা এবং এক দিন না রাখা—যা “দাউদী সিয়াম” নামে পরিচিত। এছাড়া তিনি রাতকে তিনভাগে ভাগ করে ইবাদত করতেন:

  • অর্ধেক রাত ঘুমাতেন,

  • এক-তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন,

  • এবং বাকি ষষ্ঠাংশ আবার বিশ্রাম নিতেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিসে এ আমলকে সর্বাধিক প্রিয় আমল হিসেবে উল্লেখ করেছেন—

“আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় নামাজ ছিল দাউদ আলাইহিস সালামের নামাজ এবং সবচেয়ে প্রিয় রোজা ছিল তাঁর রোজা। তিনি অর্ধেক রাত ঘুমাতেন, এক-তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন, আবার রাতের শেষ ষষ্ঠাংশে ঘুমাতেন। আর তিনি এক দিন রোজা রাখতেন, এক দিন বিরত থাকতেন।”
— (সহিহ বুখারি: ১১৩১, সহিহ মুসলিম: ১১৫৯)

✨ অর্থাৎ দাউদ (আ.)-এর আল্লাহপ্রিয় গুণ ছিল সময়কে সুষমভাবে ভাগ করে ইবাদত ও বিশ্রাম করা, এবং পরিমিতির সাথে ইবাদতের প্রতি আন্তরিক নিষ্ঠা।