
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে। তিনি গাজার মানবিক বিপর্যয়কে “অসহনীয়” উল্লেখ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানান। স্টাব স্পষ্ট করে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কোনো অধিকার ইসরায়েলের নেই।
জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত সার্বভৌমত্ব ও মানবাধিকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন যেমন অবৈধ, তেমনি ইসরায়েলেরও ফিলিস্তিনে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করার অধিকার নেই। কোনো রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক বা কৌশলগত স্বার্থে সুদান কিংবা কঙ্গোর ভূখণ্ডে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর অধিকার নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তার মতে, আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্বের ন্যায্য আকাঙ্ক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। তিনি বলেন, “১৯৬৭ সালে যে দখলদারিত্ব শুরু হয়েছিল, তা শেষ করতে হবে এবং সব ইস্যুর স্থায়ী সমাধান করতে হবে।”
স্টাব আরও বলেন, গাজার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এবং বর্তমান মানবিক বিপর্যয় আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতার প্রতিফলন। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
নিজের ভাষণে ফিনিশ প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারের আহ্বান জানান। তিনি প্রস্তাব করেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে—এশিয়ার জন্য দুইটি, আফ্রিকার জন্য দুইটি এবং লাতিন আমেরিকার জন্য একটি আসন যোগ করতে হবে। পাশাপাশি কোনো রাষ্ট্র যদি জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে, তবে তার ভোটাধিকার স্থগিত করারও দাবি জানান তিনি।