০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দানিলো তুর্কের আমন্ত্রণ

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্বের সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের ফোরাম ক্লাব দে মাদ্রিদে সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ও স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দানিলো তুর্ক। বুধবার নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে দানিলো তুর্ক ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রে ইউনূসের অগ্রণী কাজের প্রশংসা করে বলেন, এর বৈশ্বিক প্রভাব অসামান্য। তিনি বলেন, ইউনূস যদি ক্লাব দে মাদ্রিদের আয়োজনে অংশ নেন তবে তা হবে আনন্দের বিষয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রসঙ্গে তার দৃষ্টিভঙ্গি বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তুর্ক আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান বিশ্বকে বিস্মিত করেছে, এ ধরনের রূপান্তর বিশ্বনেতাদের গভীরভাবে বোঝা প্রয়োজন। বৈঠকে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদার করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক সংস্কারের অভিজ্ঞতা তিনি বিশ্বমঞ্চে ভাগ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমরা এখনো জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটছি, কীভাবে দেশকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে নেওয়া যায় তা খুঁজছি। আমাদের মনোযোগ এই পথেই স্থির।” বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগ

স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দানিলো তুর্কের আমন্ত্রণ

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্বের সাবেক রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের ফোরাম ক্লাব দে মাদ্রিদে সদস্য হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট ও স্লোভেনিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দানিলো তুর্ক। বুধবার নিউইয়র্কে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান। প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৈঠকে দানিলো তুর্ক ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রে ইউনূসের অগ্রণী কাজের প্রশংসা করে বলেন, এর বৈশ্বিক প্রভাব অসামান্য। তিনি বলেন, ইউনূস যদি ক্লাব দে মাদ্রিদের আয়োজনে অংশ নেন তবে তা হবে আনন্দের বিষয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রসঙ্গে তার দৃষ্টিভঙ্গি বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। তুর্ক আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান বিশ্বকে বিস্মিত করেছে, এ ধরনের রূপান্তর বিশ্বনেতাদের গভীরভাবে বোঝা প্রয়োজন। বৈঠকে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদার করার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে চলমান গণতান্ত্রিক সংস্কারের অভিজ্ঞতা তিনি বিশ্বমঞ্চে ভাগ করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, “আমরা এখনো জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হাঁটছি, কীভাবে দেশকে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে এগিয়ে নেওয়া যায় তা খুঁজছি। আমাদের মনোযোগ এই পথেই স্থির।” বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।