০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরানে ৫,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশিয়ার বিনিয়োগ

ইরান ও রাশিয়া একটি বড় ধরনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে হাত মিলিয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কর্পোরেশন রোসাটম ইরানে চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার।

আইআরএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরমোজগানের সিরিক অঞ্চলে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রস্তাবিত জেনারেশন-III প্রযুক্তির কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় ৫,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

রোসাটম এর আগে জানিয়েছিল, তারা ইরানে ছোট আকারের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। তবে শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্র সংখ্যা ও আর্থিক পরিমাণ প্রকাশ করা হলো।

চুক্তিটি মস্কোতে স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে রাশিয়া ও ইরানের জ্বালানি খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। বর্তমানে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর শহরে একটি মাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কার্যকর রয়েছে, যা রাশিয়ার নির্মিত এবং এর ক্ষমতা প্রায় ১ গিগাওয়াট।

এদিকে, এই চুক্তি এমন সময়ে হলো যখন ইরানের ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে ইউরোপীয় দেশগুলো নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং আগামী শনিবারের মধ্যে স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদ্যুতের ঘাটতিতে ভুগতে থাকা ইরান আশা করছে এই নতুন প্রকল্প দেশের জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রাখবে। রাশিয়া ইতোমধ্যেই ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়েছে এবং সম্প্রতি তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটছে। তবে ইরান সবসময়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যই।

 

ট্যাগ

শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইরানে ৫,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশিয়ার বিনিয়োগ

প্রকাশিত হয়েছে: ১১:০২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইরান ও রাশিয়া একটি বড় ধরনের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে হাত মিলিয়েছে। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক কর্পোরেশন রোসাটম ইরানে চারটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার।

আইআরএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরমোজগানের সিরিক অঞ্চলে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রস্তাবিত জেনারেশন-III প্রযুক্তির কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় ৫,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

রোসাটম এর আগে জানিয়েছিল, তারা ইরানে ছোট আকারের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। তবে শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্র সংখ্যা ও আর্থিক পরিমাণ প্রকাশ করা হলো।

চুক্তিটি মস্কোতে স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে রাশিয়া ও ইরানের জ্বালানি খাতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। বর্তমানে ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর শহরে একটি মাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র কার্যকর রয়েছে, যা রাশিয়ার নির্মিত এবং এর ক্ষমতা প্রায় ১ গিগাওয়াট।

এদিকে, এই চুক্তি এমন সময়ে হলো যখন ইরানের ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে ইউরোপীয় দেশগুলো নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং আগামী শনিবারের মধ্যে স্ন্যাপব্যাক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিদ্যুতের ঘাটতিতে ভুগতে থাকা ইরান আশা করছে এই নতুন প্রকল্প দেশের জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় বড় ভূমিকা রাখবে। রাশিয়া ইতোমধ্যেই ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্রে পরিণত হয়েছে এবং সম্প্রতি তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটছে। তবে ইরান সবসময়ই এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল শান্তিপূর্ণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যই।